বাসস
  ২৬ জুন ২০২৩, ১০:১১

জয়পুরহাটে ঈদুল আযহার উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পন্ন

জয়পুরহাট, ২৬ জুন, ২০২৩ (বাসস) : মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা উদযাপনের জন্য জেলায় স্বাস্থ্যবিধি পালনসহ  সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগা¤ী¢র্যের মধ্য দিয়ে ঈদগাহে ঈদগাহে আগামী বৃহষ্পতিবার  ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করা হবে।   
জয়পুরহাটে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে। এখানে দুটি জামাত সকাল  ৭ টায় প্রথম  এবং  ৮ টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।  জেলার বিশিষ্ট জনেরা এখানে নামাজ আদায় করবেন । জয়পুরহাট চিনিকল জামে  মসজিদেও বরাবরের মতো সকাল সাড়ে ৬ টা ও সাড়ে ৭ টায় দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও  কালেক্টরেট ঈদগাহে , কাশিয়াবাড়ী ঈদগাহে , তালীমূল ইসলাম একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে , পুলিশ লাইনস মাঠে, খনজনপুর খানকা শরীফ মসজিদ মাঠে, রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় আহলে হাদিস মসজিদ মাঠে , তেঁতুলতলী , হাতিল বুলুপাড়া  ও করিমনগর লালবাজার ঈদগাহসহ জেলার পাঁচ উপজেলাতে মোট ২ শ ৩৩ টি মসজিদ ও ঈদগাহে এবার ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী  জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূণর্  পরিবেশে ঈদ উৎসব উদযাপনের জন্য ২১ দফা নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে । এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ভবনে সঠিক মাপও নিয়মে জাতীয় পতাকা উত্তেলন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদ জামাত আয়োজন, পটকা ও আতশবাজি বন্ধ, নির্ধারিত স্থানে পশু কুরবানী করা, সরকারি শিশু পরিবার, জেলখানা ও হাসপাতালে উন্নত খাবার পরিবেশন, ঈদের দিন ও পরবর্তী এক সপ্তাহে তরুণদের বেপরোয়াভাবে মোটর সাইকেল চলাচল রোধ করা,  জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য মাইকিং করাসহ পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণ, যানজট নিরসন, রোগাক্রান্ত পশু ক্রয় বিক্রয় রোধ, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টিসহ জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা। প্রতিটি ঈদগাহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।    
জেলায় সুষ্ঠুভাবে ঈদুল আযহা ঊৎযাপনের জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ ও গোয়েন্দা নজরদারী রাখা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম। র‌্যাব সদস্যরাও সার্বক্ষণিক আইনশৃংখলা তদারকি করবেন । নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানী করবেন। নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করা ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় বিষয়ে পৌরসভার সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে ।