শিরোনাম
ভোলা, ২৬ জুন, ২০২৩ (বাসস) : জেলায় আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুর হাটগুলো। কোরবানি ঈদ ঘনিয়ে আসায় জেলার ৭ উপজেলার ৭৩টি পশুর হাট ক্রেতা-বিক্রেতাদের দর কষা-কষাতি মুখরিত হয়ে উঠেছে। এবারের ঈদে পশুর হাটগুলোতে দেশি গরু-ছাগলের চাহিদা বেশি রয়েছে। হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে ২১ টি মেডিকেল ভেটেরিনারি টিম। একইসাথে অনলাইন প্লাটফর্মেও খোলা হয়েছে ৮টি পশুর হাট। সেখানে ২৫ হাজার গরু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে উপজেলা সদরের ভোলার হাট, ব্যংকের হাট, ইলিশার হাট, পরানগঞ্জ হাট, গজারিয়ার হাট, ভেলুমিয়া হাট, গুইঙ্গার হাট, বাংলাবাজার হাট, বোরহানউদ্দিনের খায়ের হাট, কুঞ্জের হাটসহ বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায় ব্যাপক দেশী গরু-ছাগলের সমাহার ঘটেছে। তবে বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি রয়েছে হাটগুলোতে। কয়েকটি হাটে বিশাল আকৃতির কিছু গরু দেখা গেছে।
বিক্রেতারা জানান, কোরবানি ঘনিয়ে আসায় হাটে পশু বিক্রি দিন দিন বাড়ছে। সাধারণত ছোট গরু ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। মাঝারি গরু ৯০ থেকে দেড় লাখ টাকা এবং বড় গরু দেড় লাখ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। আর ছোট ছাগল ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা, মধ্যম সাইজ ছাগল ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ও বড় ছাগল ১৫ হাজার টাকার উপরে দাম রয়েছে।
সদর উপজেলার চর চন্দ্র প্রসাদ এলাকা থেকে ইলিশার হাটে ১০ টি মাঝারি ধরণের গরু নিয়ে এসেছেন মো: রফিক মিয়া ও সফিক মিয়া। ৪টি বিক্রি করেছেন। আগামীকাল বিক্রি আরো বাড়বে বলে জানান তারা। সদর উপজেলার ব্যাংকের হাটে জমিদার নামে ১৫ মণ ওজনের একটি গরু নিয়ে এসেছেন খামারি আমির হোসেন। দাম চাচ্ছেন ৫ লাখ টাকা। বিশালাকৃতির এ গরু দেখতে পাশ পাশে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল বাসস’কে জানান, এবছর কোরবানিতে জেলায় সম্ভাব্য প্রয়োজন ধরা হয়েছে ৮৪ হাজার ৪’শ পশু। বিপরীতে মজুদ রয়েছে ৯০ হাজার ৯৬টি পশু। এর মধ্যে ৫৫ হাজার ৫৮টি গরু, ছাগল ২৬ হাজার ২’শ ৫, মহিষ ৫ হাজার ৫’শ ৬০ ও ভেড়া রয়েছে ৩ হাজার ২’শ ৭৩ টি। চাহিদার তুলনায় আমাদের ৫ হাজারের বেশি পশু রয়েছে। তাই আশা করছি পশুর কোন ঘাটতি হবেনা।
তিনি আরো বলেন,এখন পর্যন্ত হাটের সকল পশু ভালো রয়েছে। ক্ষতিকর ্ওষুধ ব্যবহারের কোন গরু পাওয়া যায়নি। এখানে প্রচুর সবুজ ঘাস পাওয়া যায়। তাই এসব ঘাস খেয়ে গরু স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ রয়েছে।
এদিকে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বাড়ছে কামার পাড়ায়। লোহার উপর হাতুরি পেটার টুং-টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠছে কামারের দোকানগুলো। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে কাজের পালা। পশুর মাংস কাটার বিভিন্ন আকৃতির দা, বটি, ছোড়া, চাপাতি তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।