বাসস
  ২৬ জুন ২০২৩, ১৮:৩৪
আপডেট  : ২৬ জুন ২০২৩, ১৯:৫৫

টাঙ্গাইলের কামার শিল্পীরা শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন

টাঙ্গাইল, ২৬ জুন, ২০২৩ (বাসস): কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে টুং টাং শব্দে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন টাঙ্গাইলের কামার শিল্পীরা । চলছে হাঁপর টানা, পুড়ছে কয়লা, জ্বলছে  লোহা। হাতুড়ি পিটিয়ে কামার তৈরি করছেন দা, বটি, ছুরিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম। শহর ও গ্রাম-গঞ্জে সব জায়গায় কামাররা নতুন তৈরির সঙ্গে পুরনো দা-বটি, ছুরি ও চাপাতিতে সান দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার মোটর চালিত মেশিনে শান দেয়ার কাজও চলছে। তাই যেন দম ফেলারও সময় নেই কামারদের।
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলে কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার জন্য উপকরণ দা-ছুরি ও চাপাতি কিনতে কামারের দোকানেও ভিড় বাড়ছে । 
টাঙ্গাইলের বিভিন্ন কামারপল্লীতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কোরবানি দাতারা কোরবানির পশু কাঁটার জন্য পরিবারের ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত দা-বটি ও ছুরি সান দেয়ার জন্যে কামারদের কাছে নিয়ে আসছেন। এর ফলে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কামারদের বিরামহীন ব্যস্ততা। অন্য সময়ের চেয়ে দোকানে মৌসুমী কর্মচারীর সংখ্যাও বেড়েছে। 
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা গ্রামের শান্ত কর্মকার জানান, সাধারণত ¯িপ্রং লোহা ও কাঁচা লোহা ব্যবহার করে দা-বটিঁ ও ছুরি তৈরি করা হয়। ¯িপ্রং লোহা দিয়ে তৈরি উপকরণের মান ভালো, দামও বেশি। আর কাঁচা লোহার তৈরি উপকরণগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে কম। 
এ ছাড়াও লোহার মানভেদে ¯িপ্রং লোহা ৫০০ টাকা, নরমাল ৩০০ টাকা, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০ থেকে ২০০, দা ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, বঁটি ২০০ থেকে ৪০০, পশু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ টাকা, চাপাতি ৫০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হয় বলে জানান তিনি।
বিশ্বাবেতকা এলাকার মনু মিয়া বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর যন্ত্রপাতির দাম বেশি। 
সুশান্ত কর্মকার বলেন, বছরের ১১ মাসে ব্যবসা হয় এক রকম আর কোরবানির ঈদের আগের এক মাসে ব্যবসা হয় আরেক রকম। কোরবানীর ঈদ এলে আমাদের কামারের দোকানদারদের বেচা-বিক্রি ও ব্যস্ততা অনেক বেড়ে যায়। 
কামার শিল্পী প্রবাস বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষেরা এ কাজ করে আসছেন সেই সুবাধে আমি এ কাজ করি। সারা বছর তেমন কাজ কাম না থাকলেও  ঈদুল আজহার সময় আমাদের কাজের চাহিদা বেড়ে যায়। এখনো খুচরা বিক্রি ভালো ভাবে শুরু হয়নি। ঈদের ২/৩দিন আগে থেকে খুচরা বিক্রির ধুম পরে যায়। মানুষ  কোরবানির পশু কেনার পরে দা, বটি কিনেন। এখন আমরা বেপারির অর্ডারের যন্ত্রপাতি তৈরি করে সরবরাহ করছি।