বাসস
  ২৬ জুন ২০২৩, ১৯:৪৪

এবারও পশুরহাটে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে : র‌্যাব

ঢাকা, ২৬ জুন, ২০২৩ (বাসস) : এলিট ফোর্স র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, প্রতিবছরের মতো এবারও পশুরহাটে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। স্বনামধন্য হাটগুলোতে পরিচালনা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। হাটে পশু বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর গাবতলী পশুরহাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় র‌্যাবের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপসিস্থত ছিলেন। 
অসাধু চামড়া ব্যবসায়ীদের হুশিয়ারী উচ্চারণ করে খন্দকার আল  মঈন বলেন, বিভিন্ন সময় পশুর চামড়ার সঠিক মূল্য পান না প্রান্তিক লোকজন ও ব্যবসায়ীরা। একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম নির্ধারণ করে। এক্ষেত্রে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার একাধিক টিম কাজ করছে। বেশকিছু তথ্য ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। চামড়া বেচাকেনায় সিন্ডিকেট করলে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। 
পশু কিনতে এসে অনেক সময় নারী ক্রেতারা নানা ধরনের ভোগান্তি-হয়রানি ও ইভটিজিংয়ের শিকার হন। কেউ প্রতারিত বা ভোগান্তির শিকার হলে র‌্যাব কন্ট্রোল রুমে অভিযোগ করলে ‘তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তিনি বলেন, পবিত্র  ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে অনলাইনে পশু বেচাকেনায় প্রতারণা এবং অতিরিক্ত হাসিল আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগও এসেছে। অনেকেই  প্রতারণার  শিকার হচ্ছেন। সবগুলোহাটে র‌্যাবের মোবাইল টিম রয়েছে, অতিরিক্ত হাসিল আদায় করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অনলাইনে অনেকে পশু কেনা-বেচা করেন। এই অনলাইনে পশু কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন প্রতারণার শিকার না হোন সে জন্য র‌্যাবের সাইবার টিম কাজ করছে। বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। সেগুলো ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। র‌্যাব বেশ কিছু অনলাইন পশু কেনাবেচার পেইজ শনাক্ত করেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিনিয়তই মনিটরিং হচ্ছে। যারা কুরবানির পশু বেচাকেনা করেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরবরাহ করেনি। তাদের সনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়িরা কৃত্রিম উপায়ে রাসায়নিক দ্রব্য খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করে অথবা অস্বাস্থ্যকর গবাদি পশু বিক্রি করেন। এসবের বিরুদ্ধে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা, ভেটেনারি ডাক্তারের সমন্বয়ে র‌্যাব একটি টিম গঠন করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। 
হাটে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও  প্রতারক চক্রের সক্রিয় রয়েছে উল্লেখ করে- তিনি বলেন, পশুরহাট কেন্দ্রিক দালাল, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি প্রতারক চক্র ও জাল টাকা কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। 
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে  তিনি বলেন, হাটকেন্দ্রিক প্রচুর টাকার নগদ লেনদেন হয়। যেখানে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ি জাল টাকা নিয়ে হাটে আসেন, লেনদেনের চেষ্টা করেন। হাটে জাল টাকা শনাক্ত করার মেশিন রয়েছে। র‌্যাবের টিমও কাজ করছে। 
পশুর হাটে সাধারণ ক্রেতা বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে মঈন বলেন, ‘আপনারা পশুরহাটে নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিন, প্রয়োজনে লেনদেনের টাকা জাল কি না নিশ্চিত হতে মেশিনে জাল টাকা শনাক্ত করুন। এতে করে আমরা জাল টাকা কারবারিদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।’