শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ জুন, ২০২৩(বাসস) : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় কুরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য যথাযথভাবে পরিষ্কার করে নির্ধারিত স্থানে ফেলতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
যেখানে-সেখানে পশু জবাই করা থেকে বিরত এবং কুরবানির পুরো কার্যক্রম চলাকালে যথাযথ ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
পবিত্র ঈদুল-আযহা উদযাপন উপলক্ষে কুরবানি পশুর বর্জ্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণরোধে করণীয় বিষয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় এই আহ্বান জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, সভায় পবিত্র ঈদুল-আযহা উদযাপনে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে পশু কুরবানির মাধ্যমে পালন করা হয় সুমহান ধর্মীয় অনুশাসন। কুরবানিকৃত পশুর রক্ত, হাড়, চামড়া, নাড়িভুঁড়ি, গোবর বা অন্য যে কোন বর্জের মাধ্যমে যাতে পরিবেশ দূষিত না হয় সেজন্য সুনির্দিষ্ট গর্তের মধ্যে পরিত্যক্ত অংশ রেখে মাটি চাপা দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
বিঞ্জপ্তিতে আরো জানানো হয়, কুরবানির বর্জ্য অপসারণ বা কুরবানির গোশত বিতরণে পরিবেশসম্মত ব্যাগ বা পাত্র ব্যবহার করার আহ্বান জানান হয়েছে। সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করে জনগণ ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্বে পালন করবে বলে প্রত্যাশা করে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
কুরবানির পশুর বর্জ্য পরিবেশসম্মতভাবে অপসারণ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী প্রচারপত্র বিতরণ করা হচ্ছে। গণযোগাযোগ অধিদপ্তর হাট-বাজার ও উন্মুক্ত এলাকায় জনসচেতনতামূলক মাইকিং এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করছে।
জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের মাধ্যমে খুদেবার্তা প্রেরণ করে জনগণকে এই বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হবে। ঈদের আগের জুম’আ ও ঈদের নামাজের খুৎবায় এ বিষয়টি উল্লেখ করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সম্মানিত ইমামগণকে অনুরোধ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।