বাসস
  ২৯ জুন ২০২৩, ২৩:০৪

ডিএনসিসির সবগুলো ওয়ার্ডে এবং ডিএসসিসির ৬০টিতে শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ

ঢাকা, ২৯ জুন, ২০২৩ (বাসস) : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের পূর্ব ঘোষিত ৮ ঘন্টায় শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে রাত ৯টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ৬০টি ওয়ার্ড হতে কোরবানির পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। শতভাগ বর্জ্য অপসারিত হওয়া ওয়ার্ডগুলো হলো- ১ থেকে ৪, ৯, ১০, ১৩, ১৬ থেকে ৩৮, ৪০ থেকে ৪৬, ৪৮, ৫০ থেকে ৫৯, ৬১ থেকে ৬৪ এবং ৬৮ থেকে ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড।
কোরবানির বর্জ্য অপসারনে বাকী ওয়ার্ডসমূহের অগ্রগতি গড়ে ৯০ শতাংশ । 
আজ রাতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আলাদা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে ।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'সবার সহযোগিতায় পূর্ব ঘোষিত ৮ ঘন্টার আগেই ঢাকা উত্তর সিটির কোরবানীর বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। সচেতন নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতায় এটি করতে পেরেছি। আমি নগরবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আগামী দিনেও ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জনগণ ও সিটিকর্পোরেশনকে একসাথে কাজ করতে হবে।'
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের  মণিপুর এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। 
দুপুর ২টা থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে রাত সাড়ে ৯টায় ৮ ঘন্টারও কম সময়ে সবগুলো ওয়ার্ডের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করে। ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে আজ ২ হাজার ৭১৩ ট্রিপে প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। 
ডিএনসিসির বর্জ্য বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৫৪টি ওয়ার্ডের সকল এলাকার শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের  সকল বর্জ্য সংগ্রহ করে এসটিএসে রাখা হয়েছে। সেগুলো ল্যান্ডফিলে ট্রান্সফার করা হচ্ছে। 
ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে কোরবানীর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং সরাসরি তদারকি করেন। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে মনিপুর এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এরপর তিনি আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, মগবাজার, মধুবাগ, রামপুরা, খিলগাঁও, প্রগতি সরণিসহ উত্তরা এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সশরীরে পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের তদারকি  করার জন্য ৫ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে ৫টি গ্রুপ গঠন করা হয়। ৫টি গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী। প্রতিটি গ্রুপ দুটি করে অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণে ১১ হাজার কর্মী কাজে নিয়োজিত ছিল। নগর ভবনের নীচ তলায় অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর: ০২-৫৫০৫২০৮৪, ১৬১০৬। এছাড়াও সবার ঢাকা অ্যাপেও তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবস্থা নেয়া হয়। সকাল থেকে ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টারথেকে মনিটরিং করা হয়
সন্ধ্যায় পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসি মেয়র বর্জ্য বিভাগকে এবং তদারকির জন্য গঠিত ৫টি গ্রুপকে আগামীকালও কোরবানির বর্জ্য দ্রুত সময়ে পরিষ্কার করার নির্দেশ দেন।
কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শনে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেঃ জেনাঃ এ.কে.এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (অ.দা.) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, কাউন্সিলরবৃন্দ এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।