শিরোনাম
সংসদ ভবন, ৫ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : বাংলাদেশে জনবান্ধব সেবা ব্যবস্থার উন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক উদ্ভাবনী সংস্কৃতির বিকাশ এবং জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা প্রদানকল্পে এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) নামে একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়নকল্পে জাতীয় সংসদে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) বিল, ২০২৩’ পাস হয়েছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।
এজেন্সির পরিচালনা ও প্রশাসন একটি পরিচালনা পর্ষদের উপর ন্যস্ত থাকবে। এটি ১৮ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের সমন্বয়ে গঠিত হবে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন, যা স্বায়ত্তশাসিত হবে। প্রতি বছরে পরিচালনা পর্ষদের অন্যূন ২টি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও, এজেন্সি একটি নীতি তৈরি করবে যা উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার পরিবেশ তৈরি করতে সহায়তা করবে।
আইনে বলা হয়েছে, এজেন্সি তার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারি নিয়োগ করতে পারবে। এজেন্সি তার আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করবে এবং হিসাবের বাৎসরিক বিবরণী প্রস্তুত করবে। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এজেন্সি প্রয়োজন অনুযায়ী কোম্পানী গঠন করতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, পাবলিক সার্ভিসের ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিতকরণ এবং নাগরিকের জীবনমানে সৃষ্ট সেবা অধিকতর কার্যকর ও টেকসই করার জন্য ‘এসপায়ার টু ইনোভেট’ এর প্রতিস্থাপকরূপে স্থায়ী কাঠামো হিসেবে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই)’ নামে একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করা এই আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নকে প্রকারান্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’র পুনর্জাগরণ বলা যেতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) আইন-২০২৩’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।