শিরোনাম
সংসদ ভবন, ৬ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : জনশৃঙ্খলা, পরিবেশ ও নৈতিকতা পরিপন্থী এবং জাতীয় প্রতীকের সমন্বয়ে গঠিত কোনও শিল্প-নকশা পাবে না কোনও মালিকানা স্বত্ব। এমন বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ শিল্প-নকশা বিল ২০২৩’ পাস হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বিলটি আজ জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়। বিল পাসের প্রক্রিয়ায় জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, বেগম রওশান আরা মান্নান ও হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, গণফোরামের মোকাব্বির খান এবং স্বতন্ত্র সদস্য মো. রেজাউল করিম বাবলু।
‘দ্য পেটেন্ট অ্যান্ড ডিজাইন অ্যাক্ট ১৯১১’ রদ করে নতুনভাবে এই আইনটি পাস হয়েছে। এর আগে বিলটি গত ২৫ জুলাই মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়।
আইনের অধীনে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফি প্রদান সাপেক্ষে শিল্প-নকশার নিবন্ধনের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। কারও যদি এক্সক্লুসিভ এক্সট্রা অর্ডিনারি কোনও রকম কিছু থাকে, তাহলে তিনি দরখাস্ত দিলে তাকে আরও পাঁচ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়া যাবে।
আগের আইনে ডিজাইন এবং ট্রেডমার্কস রেজিস্ট্রার অধিদফতর ছিল, এই আইনেও সেটা বহাল থাকবে। এই অধিদফতরের অধীনে একটি শিল্প ইউনিট থাকবে। এই আইনের অধীনে শিল্প-নকশা নিবন্ধন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
আইনের বিধান অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে যদি শিল্প-নকশা নিবন্ধিত হয়, অন্যকে প্রতারণা মূলকভাবে যদি ব্যবহার করে, তবে মালিক ক্ষতিপূরণ পাবেন। সিভিল আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।