শিরোনাম
সংসদ ভবন, ৬ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : জাতীয় সংসদে আজ স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি (সংশোধন) বিল ২০২৩ পাস হয়েছে।
ভূমি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে জেলা জজকে ভূমি জরিপ (ল্যান্ড সার্ভে) আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক করার বিধান রেখে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী আজ সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন এবং ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।
নতুন এই আইনে ভূমি জরিপ সংক্রান্ত মামলা নিস্পত্তির দীর্ঘসূত্রিতা কাটবে বলে ভূমিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
এছাড়া প্রয়োজনে সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজদেরও ল্যান্ড সার্ভে নিস্পত্তির জন্য ট্রাইব্যুনালে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া যাবে এমন বিধান রয়েছে বিলে। এর জন্য ১৯৫০ সালের স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্ট (রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন) সংশোধন করা হয়েছে।
পূর্বের আইনে বলা আছে, ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন যুগ্ম জেলা জজরা। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার এই বিচারক নিয়োগ দেবে।
এই বিধানের সঙ্গে নতুন ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বিচারক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সরকার যুগ্ম জেলা জজদের ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজের ক্ষমতা দিতে পারবে। এছাড়া ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনাল থেকে স্থানান্তর করা মামলা নিস্পত্তির জন্য সরকার এক বা একাধিক সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে।
এতদিন আইনে বলা ছিল, ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক অথবা সাবেক বিচারক। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এই আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়নি।