বাসস
  ১১ জুলাই ২০২৩, ১৮:০৩

ফেনীতে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী কৃষি মেলা

ফেনী, ১১ জুলাই, ২০২৩ (বাসস): জেলায় আজ মঙ্গলবার থেকে ৩ দিনব্যাপী কৃষি মেলা শুরু হয়েছে। সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মেলার উদ্বোধন করেন ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল। 
মেলায় কৃষি প্রযুক্তি, জৈব কৃষি ও জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনা ও বালাইনাশকের ঝুঁকি হ্রাস, বিভিন্ন ফসলের বীজ ও সার, ফল ও সবজি প্রদর্শন, ডিজিটাল কৃষি সম্প্রসারণ, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং কে পাহালিয়া নামে একটি ফার্মসহ ৬টি স্টল বসেছে।
মেলার আয়োজক ফেনী সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী পরশু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মেলা চলবে।
উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু একটি নির্দিষ্ট বিষয় নয়, পুরো বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবেন। এদেশের কৃষকদের নিয়ে ভাবেন। কৃষকদের যত বেশি সমৃদ্ধ করা যাবে তত বেশি দেশ সমৃদ্ধ হবে। কৃষকদের বাদ দিয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়া অসম্ভব।
শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, সরকার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তালগাছ, নারিকেলের চারাসহ নানা চারা দিচ্ছে। একসময় দুষ্প্রাপ্য ছিল সার। যা এখন প্রধানমন্ত্রী প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিচ্ছে। দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে আবাদ করতে হবে। এক ইঞ্চি জায়গাও খালি রাখা যাবে না। তবেই ২০৪১ সালের মধ্যে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। কৃষিই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমীন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান একে শহীদ উল্ল্যাহ খোন্দকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আরা বেগম জুসি, প্রবীণ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম, ও ফাজিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক রিপন।
কৃষি কর্মকর্তা বলেন, মেলায় বিভিন্ন ধরনের ফসল, ফল-মূল এবং প্রযুক্তির সম্মিলন হয়েছে। যা থেকে এখানের কৃষির পাশাপাশি কৃষক সমৃদ্ধ হবে। মেলায় কৃষকদের ১২ ধরনের বীজ এবং ৩টি করে চারা দেওয়া হচ্ছে।
সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের উজালিয়া গ্রামের কৃষক হারাধন বলেন, আমি পাঁচ একর জায়গায় বছরজুড়ে বিভিন্ন ফসল আবাদ করি। তবে এখানে এসে নতুন-নতুন বিষয় চোখে পড়ছে। যা প্রয়োগ করলে আমার শ্রম, অর্থ সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি উপকারও পাওয়া যাবে।
উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কাজী মনছুর আহাম্মদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র্যা লি বের করা হয়।