শিরোনাম
জয়পুরহাট , ১৩ জুলাই, ২০২৩ (বাসস): জয়পুরহাটে পৃথক হত্যা মামলার রায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, জয়পুরহাট সদরের কাদিপুর গ্রামের আব্দুল আলিম ও আক্কেলপুর উপজেলার লক্ষীভাটা গ্রামের জোলেখা বেগম হত্যা মামলার পৃথক রায়ে ৭ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ডের আদেশ দেয়া হয়।
জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো: আব্বাস উদ্দীন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে পৃথকভাবে এ রায় ঘোষনা করেন।
জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, জয়পুরহাট সদরের কাদিপুর গ্রামের আব্দুল আলিম হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছে- স্থানীয় কড়ই কাদিপুর গ্রামের আমিনুর ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল হান্নান, আনোয়ার হোসেন, মো: দুদু ও ঘুটু আলম ।
অপরদিকে আক্কেলপুর উপজেলার লক্ষীভাটা গ্রামের স্ত্রী জোলেখা বেগম হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছে স্বামী ইয়াছিন আলী ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জয়পুরহাট সদরের কাদিপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান মৌলভির পুকুর পাহারা দেওয়ার কাজ করতো ওই গ্রামের আব্দুল আলিম। ২০০৯ সালের ৭ মার্চ রাতে পূর্বের ন্যায় পুকুর পাহারা দিতে যায়। পরের দিন সকালে স্ত্রী মোসলেমা বেগম জানতে পারেন পুকুরের পাশে একটি ধান ক্ষেতে রশি দিয়ে হাত-পা বাধা অবস্থায় আব্দুল আলিমের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে অজ্ঞাত আসামী করে ৮ মার্চ জয়পুরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন স্ত্রী মোসলেমা বেগম।
পুলিশ তদন্ত শেষে সাজাপ্রাপ্ত ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৯ সালের ২২ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ বৃহষ্পতিবার আব্দুল আলিম হত্যা মামলায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করেন।
অপরদিকে, আক্কেলপুর উপজেলার লক্ষীভাটা গ্রামের ইয়াছিন আলী তার স্ত্রী জোলেখা বেগমকে ২০০০ সালের ১৮ এপ্রিল বেদম মারপিট করেন। এতে জোলেখা বেগম অসুস্থ্য হয়ে পড়লে প্রথমে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নওগাঁ জেলা হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় জোলেখা বেগমের পিতা আব্দুল জোব্বার বাদী হয়ে মেয়ের জামাই ইয়াছিন আলীকে আসামী করে আক্কেলপুর থানায় একটি হত্যা মামলায় দায়ের করেন।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০০১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালতে শুনানী শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় বৃহষ্পতিবার স্বামী ইয়াছিন আলীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া রায়ে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেয়া হয়।