শিরোনাম
ঢাকা, ১৪ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা বাণীতে মন্ত্রী আজ এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরে পার্বত্য চট্টগ্রাম যাতে অনুকরণীয় মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ পায় সে লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আগামীকাল শনিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী । এ উপলক্ষ্যে মন্ত্রণায়ের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ১৬ জুলাই বেলা ১১ টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে । এ উপলক্ষ্যে ঢাকার বেইলী রোডস্থ শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সাজসজ্জাকরণ ও বিশালাকৃতির ফেস্টুন টানানো এবং শুভেচ্ছা কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের করিডোর রং বেরঙ্গের এক্স ব্যানার ও ব্যাকড্রপ ব্যানার নির্মাণ এবং সংযোজন করা হয়েছে।
শুভেচ্ছা বাণীতে মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং আরো বলেন, কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ফলশ্রুতিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিরাজমান দীর্ঘ দুই যুগের সংঘাতের অবসান হয়। মন্ত্রী এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শুভেচ্ছা বাণীতে মন্ত্রী আরও বলেন, ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই বৃহত্তর পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্থাপন করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে দৃঢ়তার সাথে শান্তিচুক্তির ধারাকে অগ্রাধিকার বিবেচনা করে সরকারের নীতি অনুসরণপূর্বক পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখেছে। মন্ত্রী বলেন, শান্তিচুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ইতোমধ্যে ৬৫টি ধারা পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাকি ৭টি ধারার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বীর বাহাদুর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির পটভূমিতে তিন পার্বত্য জেলায় শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার মহান ব্রত নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ ও সুনির্দেশনায় পার্বত্য অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নের ধারা এভাবে অব্যাহত থাকলে দেশের এক দশমাংশ এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের জন্য বোঝা নয়, বরং দেশের জন্য স্মার্ট জনপদ হিসেবে অন্যতম সম্পদে রূপান্তরিত হবে।
বীর বাহাদুর তিন পার্বত্য জেলায় দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠা, আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং বিকাশে সার্বিক সহযোগিতায় সবাইকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেন।