বাসস
  ১৫ জুলাই ২০২৩, ২০:৫৮

নীলফামারীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, তিস্তায় পানি বিপৎসীমার নিচে 

নীলফামারী, ১৫ জুলাই ২০২৩ (বাসস) : জেলায় আজ তিস্তার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। শনিবার বিকেল ছয়টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার  ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 
ডালিয়ায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার সকাল ছয় টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। এরপর সকাল নয়টায় ১২ সেন্টিমিটার এবং বেলা ১২টায় পাঁচ সেন্টিমিটার ওপ দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকেল তিনটায় আরও পানি কমে তিন সেন্টিমিটার এবং সন্ধ্যায় ছয়টায় ১৫ সেন্টিমিটার নিচে নামে। নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নামায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়।
গত বৃহস্পতিবার ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। সেদিন সকাল ছয়টায় ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর পানি বাড়তে থাকলে সন্ধ্যা ছয়টায় ৩৫ সেন্টিমিটার  এবং শুক্রবার সকাল ছয়টায় ৪০ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। এরপর থেকে পানি কমে বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 
তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, গয়াবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদী বেষ্টিত ১৫টি চর-গ্রামের পাঁচ সহ¯্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এসব পরিবারের বাড়িঘরে পানি বিরাজ করায় অনেকে উঁচু জায়গায় সরে যান। শনিবার পানি কমায় অন্যত্র আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলো বাড়িতে ফিরতে শুরু করে। 
ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, ‘শনিবার তিস্তার পানি কমায় অন্যত্র আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলো নিজ নিজ বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।’
ডালিয়ায় বাপাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, ‘আজ শনিবার বিকাল তিনটায় পানি কমে বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার এবং বিকাল ছয়টায় ১৫ সেন্টিমিটার নিচে নামায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারেজের সবকটি জলকপাট (৪৪টি) খুলে রাখা হয়েছে’।