শিরোনাম
সাতক্ষীরা, ১৯ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : সাতক্ষীরায় পৃথক মামলায় দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে আব্দুর রহমান (২০) নামে এক তরুণকে এবং এক তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে রবিউল ইসলাম (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
এসময় আসামী আব্দুর রহমান আদালতে উপস্থিত থাকলেও রবিউল ইসলাম পলাতক ছিল।
এছাড়া রায়ে প্রেমিক আব্দুর রহমানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদন্ড এবং ধর্ষক রবিউল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আলিম আল রাজি এবং নারী ও শিশু আদালতের বিচারক এমজি আযম পৃথক দুটি ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এ রায় দেন।
আসামী আব্দুর রহমান কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের আলতাফ হোসেনের পুত্র এবং রবিউল ইসলাম আশাশুনি উপজেলার মনিপুর গ্রামের মোকছেদ আলী গাজীর পুত্র।
আদালত সূত্রে আরও জানাগেছে, আসামী আব্দুর রহমানের সাথে জালালাবাদ গ্রামের সোহরাব হোসেনের কন্যা কলারোয়া গার্লস পাইলট স্কুলের অস্টম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা হোসেন সেজুতির (১৪) প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ২০২২ সালের ২৭ মার্চ রাতে সে নিখোঁজ হয়। পরের দিন সকালে সেজুতির লাশ বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় সেজুতির মা লায়লা পারভীন পরদিন ২৮ মার্চ কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে আসামী আব্দুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
অন্যদিকে, ২০১০ সালের শুরুর দিকে আশাশুনি উপজেলার মনিপুর গ্রামের একটি মেয়েকে (১৯) মৎস্য ঘেরের পাশে পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে একই এলাকার মোকছেদ আলীর পুত্র রবিউল ইসলাম। ধর্ষনের ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্ষিতার পিতা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করে ।
সাতক্ষীরা জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট আব্দুল লতিফ বাসসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।