বাসস
  ২০ জুলাই ২০২৩, ২১:২৩

যারা নাশকতা চালাচ্ছে তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করুন : চট্টগ্রামে প্রতিবাদ সমাবেশে নাছির

চট্টগ্রাম, ২০ জুলাই ২০২৩ (বাসস) : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, যারা নাশকতা চালাচ্ছে- তাদের নাম-ধাম এবং বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা সংগ্রহ করে রাখুন। আমরা তাদেরকে কিছুতেই ঘরে বাইরে শান্তিতে থাকতে দিতে পারি না। প্রতিটি ওয়ার্ডে সর্বস্তরের স্বাধীনতার পক্ষের মানুষজনকে নিয়ে দুর্গ গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে বিএনপি-জামাতের পূর্বপরিকল্পিত হামলা ও ভাংচুর এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বিএনপি ও তার কথিত মিত্রদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমরা অনেক সহশীলতা ও ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়েছি। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে পরিকল্পিত ন্যাক্কারজনক হামলা ও ভাংচুর প্রমাণ করে, এই অপশক্তিকে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠার সুযোগ দেয়া যাবে না। আমরা অনেক প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি। আজকের এই সমাবেশটি প্রতিরোধ সমাবেশ। এখান থেকেই নগরবাসীকে ডাক দিয়ে যাই বিএনপি ও তার মিত্রদের অপকর্মের বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলুন। 
তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এদেশে সংবিধান সম্মতভাবেই নির্বাচন হবে। আমরাও চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। তার মানে এই নয় যে, আমরা নির্বাচন বানচালকারীদের প্রশ্রয় দেব। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার- এটি একটি মৃত ইস্যু এবং আদালতের রায়ে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অস্তিত্ব স্থায়ীভাবে বিলীন হয়েছে। বিএনপি যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়, তার আগে তাদেরকে সংসদে আসতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুনরুজ্জীবনে সংসদেই বিল পাশ করতে হবে। এছাড়া আর কোন বিকল্প পথ নেই। 
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন আরো বলেন, বিএনপি আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে। তাদের জানা উচিত, এই আগুনে তাদের নিজেদের হাতই পুড়বে। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে সভা সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ করে দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বিএনপি ও তার মিত্ররা এই উদারতাকে দুর্বলতা ভাবছে। তারা নাশকতা ও নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করে বলতে চাই, নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির কুমতলবে তাদেরকে আর কোন সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমরা আর প্রতিবাদ সভা করবো না, এবার সরাসরি অ্যাকশনে নামবো। আমরা দেখেছি বিএনপি এর আগে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জ্বালাও পোড়াও করেছে। আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে। সরকারি সম্পদ ধ্বংস করেছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বহুমুখী ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রই সফল হয়নি এবং এবারও হবে না। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে কোন রাজনৈতিক দল নয়। এদের জন্ম হয়েছে ক্যান্টনমেন্টে। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান একজন সেনাপতি। তিনি সেনাবাহিনীর বিধান লঙ্ঘন করে অবৈধ ও অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে সুবিধাভোগী ও স্বাধীনতাবিরোধী লোকজনকে নিয়ে যে দলটি গঠন করেছেন, সেটি একাত্তরের পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মা। তাই মুক্তিযুদ্ধের একটি বিজয়ী শক্তি কখনো তাদের অস্তিত্ব মেনে নিতে পারে না। 
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও জাতীয় পরিষদের সদস্য আলহাজ নঈম উদ্দীন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, নোমান আল মাহমুদ এমপি, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আইন সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য ড. নিছার উদ্দীন আহমদ মঞ্জু, চট্টগ্রাম-১০ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ মহিউদ্দিন বাচ্চু।