বাসস
  ২১ জুলাই ২০২৩, ১১:২৯

কালের সাক্ষী কুমিল্লার কাবিলা শাহী জামে মসজিদ

কুমিল্লা (দক্ষিণ), ২১ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : জেলার বুড়িচংয়ে ২৩৭ বছর অতিক্রম করে আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কাবিলার শাহী জামে মসজিদ। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার কাবিলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ৫ শত গজ উওর পার্শ্বে অবস্থিত ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক নিপুঁণ কারুকাজে নির্মিত এই মাসজিদ।
মসজিদটি ১৭৮৫ সালে সর্বপ্রথম নির্মিত হয়। এক গম্ভুজ বিশিষ্ট এ মসজিদটি সুউচ্চ চার কোনায় চারটি মিনার। এ মসজিদটি দেখতে প্রাচীন স্থাপত্যর মত মনে হয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাবিল মজুমদার ও হাবিল মজুমদার নামে দু’ভাই ছিল। তারা ছিলেন খুবই সৎ, নিষ্ঠাবান তারা তাদের বিশাল সম্পত্তি তৎকালিন সময়ে মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, বাজার, কবরস্থানসহ নানান প্রতিষ্ঠানে দান করে যান। তার অন্যতম কাবিলার শাহী জামে মাসজিদ। এ মাসজিদটির পাশে রয়েছে সুবিশাল একটি দিঘী, রয়েছে কাবিলার শাহী কবরস্থ্ান।
ওই এলাকার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মনজুর আহাম্মেদ বাসসকে বলেন, কাবিল মজুমদার নাম থেকেই কাবিলা মসজিদ নামে পরিচিত। তিনি একজন জমিদার ছিলেন, তিনি এখানে মসজিদ, কবরস্থানসহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষের কল্যাণে অনেক সম্পত্তি দান করে গেছেন।
কাবিলা শাহী জামে মাসজিদের ইমাম মাও. আবু ছায়েদ বাসসকে জানান, এ মাসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করতে প্রতিদিন প্রায় ৫ শত লোক অংশগ্রহণ করেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সহিত আদায় করা হয়। কাবিল মজুমদারের বংশধরের একজন রুহুল কুদ্দুছ জানান, আমি কাবিল মজুমদারের ১২তম বংশধর, আমি শুনেছি কাবিল মজুমদার একজন ভালো লোক ছিলেন তিনি অনেক সম্পত্তিÍ মানুষের কল্যাণে দান করে গেছেন। তিনি কোথায় মারা গেছেন এবং কোথায় তার কবর কেউ তা জানেনা। কাবিল মজুমদার তার জমিদারির বিশাল অংশই মানবতার কল্যাণে দান করে গেছেন। কাবিল মজুমদার নেই, নেই তার জমিদারি রয়ে গেছে লাখ মানুষের কল্যাণে নির্মিত তার অমূল্য কৃর্তি কাবিলার শাহী জামে মাসজিদ, বাজার ও কবরস্থান।