বাসস
  ২৩ জুলাই ২০২৩, ১৯:১৪

যানবাহনে আসন সংরক্ষিত রাখলে শিশুমৃত্যুর হার কমে

ঢাকা, ২৩ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : গ্লোবাল রোড সেইফটি পার্টনারশীপের এক তথ্যানুযায়ী যানবাহনে শিশুদের জন্য আসন সংরক্ষিত রাখলে ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে প্রায় ৭০ এবং বড় শিশুদের ক্ষেত্রে প্রায় ৫৪ থেকে ৮০ ভাগ মৃত্যুর হার কমে। 
রাজধানীর শ্যামলীস্থ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর আয়োজিত ‘নিরাপদ সড়ক জোরদার করণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় আজ এ তথ্য উঠে আসে।
আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানটির রোড সেইফটি প্রকল্পের সমন্বয়কারী শারমিন রহমান তার বক্তব্যে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা ৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ। বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু ৮ম বৃহত্তম কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অব রোড সেইফটি ২০১৮ এর তথ্য অনুসারে সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় গড়ে ১০ লাখ ৩০ হাজার মানুষ সড়কে মারা যাচ্ছে এবং আহত হচ্ছে গড়ে প্রায় ৫ কোটি মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর দেশে রোড ক্রাশে আনুমানিক ২৪ হাজার ৯ শ’ ৫৪ জন মৃত্যু বরণ করে। আর এসব মৃত্যুও ৯০ শতাংশই নি¤œ ও মধ্য আয়ের দেশে সংগঠিত হয়। রোড ক্রাশ এর ফলে দেশে শতকরা ৫ ভাগ জিডিপি কমে যাচ্ছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে ২০২২ সালে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৭ হাজার ৭ শ’ ১৩ জন। এর মধ্যে ৩ মাস থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ১ হাজার ১ শ’ ৪৩। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে তিনজনের  বেশি শিশু সড়কে প্রাণ হারিয়েছে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, যানবাহনে শিশুবান্ধব আসনের ব্যবহার শিশুদের সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাতের ঝুঁকি ৭১-৮২ ভাগ হ্রাস করে।
গত বছরের (২০২২) ২৭ ডিসেম্বরে গেজেট আকারে প্রকাশিত বিধিমালায় শিশুযাত্রীর জন্য সিটবেল্ট বাঁধা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট বিধান কর্তৃপক্ষ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জারির কথা বললেও শিশু আসনের বিষয়ে কোনো বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। উচ্চগতির যুগে এবং গাড়িতে আটকে থাকা রাস্তা, চালকদের বেপরোয়াতায়, ভ্রমণের সময় শিশুর ঝুঁঁকি  বেড়ে যায়। তাই  শিশুদের নিরাপদ পরিবহনের জন্য, শিশুদের উপযোগী সুরক্ষিত আসন অত্যন্ত জরুরি।
আমাদের দেশের যানবাহনে শিশু আসন খুবই জরুরি উল্লেখ করে বলা হয়, তাই এই বিষয়টি অগ্রাধীকার দিয়ে যানবাহনে (বিশেষ করে ছোট গাড়িতে) শিশুদের জন্য শুরক্ষিত আসন প্রচলনে আইন আবশ্যক। পাশাপাশি সড়ক ব্যবহার কারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের ঘোষিত ‘সেইফ সিস্টেম এপ্রোচ’ অনুযায়ী একটি আলাদা আইন প্রণয়নের দাবি ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের।