বাসস
  ২৪ জুলাই ২০২৩, ২০:২১

উন্নত উৎপাদনশীলতার জন্য ট্যানারি বোর্ড গঠনের দাবি

ঢাকা, ২৪ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : ট্যানারি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫০০ টাকা নির্ধারণসহ তাদের চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘ট্যানারি বোর্ড’ এবং নতুন মজুরি বোর্ড গঠনের জন্য  সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে ট্যানারি শ্রমিকদের সংগঠন ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (টিডব্লিউইউ)।
সংগঠনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ আজ বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘সাংবাদিকদের সাথে পরামর্শ সভায়’ তাদের এসব দাবি উত্থাপন করেন। 
টিডব্লিউইউ’র অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে: ট্যানারি শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের জন্য ৫০ শয্যার একটি হাসপাতাল স্থাপন, মাতৃত্ব কল্যাণ সুবিধার পূর্ণ বাস্তবায়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং একটি পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক চামড়ার শহর গড়ে তোলার জন্য সিইটিপি-এর পূর্ণ বাস্তবায়নসহ সামাজিক সম্মতি নিশ্চিত করা এবং লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ (এলডব্লিউজি) সার্টিফিকেট অর্জনের দিকে অগ্রসর হওয়া।
দেশের বিদ্যমান শ্রম আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ট্যানারি শিল্পে শ্রমিকদের অধিকার সংক্রান্ত দাবি তুলে ধরে টিডব্লিউইউ’র নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমরা প্রায় পাঁচ বছর আগে থেকে চা বোর্ডের মতো ট্যানারি বোর্ড, ট্যানারি শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, মজুরি বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়ে আসছি অথচ এখন পর্যন্ত এই সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি।
বাংলাদেশ লেবার রাইটস জার্নালিস্ট ফোরামের (বিএলআরজেএফ) সভাপতি কাজী আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে সলিডারিটি সেন্টার-বাংলাদেশ অফিসের সহযোগিতায় টিডব্লিউইউ ও বিএলআরজেএফ এই পরামর্শ সভার আয়োজন করে। 
আলোচনায় অংশ নেন টিডব্লিউইউ’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, বিএলআরজেএফ সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউর রহমান, সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশ অফিসের প্রোগ্রাম অফিসার নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান ও যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আল মামুন এবং প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক মো. সহিদুল ইসলাম রানা।
টিডব্লিউইউ সভাপতি আজাদ বলেন, হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরের পর শ্রমিকরা কঠিন সময়ের মুখোমুখি হচ্ছেন, এই শিল্পটি এখন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তিনি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি আয়কারী এই শিল্পকে বাঁচাতে সরকারের পাশাপাশি ট্যানারি মালিকদের বিশেষ দৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানান। 
টিডব্লিউইউ’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, চামড়া শিল্প থেকে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে মালিক এবং ট্যানারি শ্রমিকদের একসাথে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, সঠিক কৌশলগত পরিকল্পনার অভাবে এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের কারণে দেশের চামড়া শিল্প এখন হুমকির মুখে, তিনি চামড়া শিল্পে সামাজিক সম্মতি (স্যোশাল এ্যাপ্লায়েন্স) নিশ্চিত করা এবং এর হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।