শিরোনাম
ঢাকা, ২৪ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নীলফামারীর একরামুল হকসহ ৮ আসামিদের বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে ১০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের
বিচারিক প্যানেল আজ এ আদেশ দেয়। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন-বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম।
আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছে। প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন সাংবাদিদের এ কথা জানান। আসামিপক্ষে শুনানি করছেন এডভোকেট গাজী এমএইচ তমিম।
প্রসিকিউশন রেজিয়া সূলতানা চমন বলেন, মামলার তদন্ত শুরু হয় ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর। ২০১৯ সালের ১ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অভিযুক্ত আট আসামির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অপহরণ, হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। ৪৬ জনকে আটক, ২৫ জনকে অপহরণ, তিন ধর্ষণ, ১৫ বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও সাতজনকে হত্যা এবং গণহত্যার অভিযোগ এনে মামলা হয় তাদের বিরুদ্ধে। ছয় অভিযোগে ২৩৮ পৃষ্ঠার নথিপত্র ছিল তদন্ত প্রতিবেদনে। এরপর প্রতিবেদনটি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেয়া হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে।
২০১৯ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে ওই বছরের ১ জুলাই নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া আসামীরা হলেন- উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট গ্রামের নুরল হক, একই ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তার, মো. জবেদ আলী, বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের মো. আব্দুল খালেক, গয়াবাড়ি ইউনিয়নের একরামুল হক , শহীদুল্লাহ সরকার ও মো. মোকলেছার রহমান ওরফে খোকা।