বাসস
  ২৭ জুলাই ২০২৩, ১৮:৩৯

রাজনৈতিক দলের সমাবেশ করতে কোনো বাধা নেই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ২৭ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রাজনৈতিক দলের সমাবেশ করতে কোনো বাধা নেই। সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের সহিংসতা সৃষ্টি হলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। 
তিনি আরও বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দেয়া নির্দেশনা ও শর্ত মেনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সমাবেশ করলে পুলিশ তাদের সহযোগিতা করবে। 
তিনি বলেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়- এমন স্থানে সমাবেশ না করা উত্তম। বড় বড় দলগুলোকে সমাবেশের জন্য রাস্তা বর্জন করার অনুরোধ করা হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের সহিংসতার সৃষ্টি হলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। 
বৃহস্পতিবার মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস -২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘মানুষই মুখ্য’ মাদককে না বলুন, শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার পরেও দুই দলের জন্য একই ধরনের নির্দেশনা থাকবে এবং একই শর্ত থাকবে। 
দুই দলই একদিনে সমাবেশ করতে চাচ্ছে  কেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক দলের নেতারা বলতে পারবেন। আমি এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু রাখা এখন আমার কাজ।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দলের সমাবেশ করতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু তারা যেন কোনো ভাবে ধ্বংসাত্মক কাজে লিল্প না হয়, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে, জানমালের ক্ষতি না করে, ভাংচুর না করে, শান্তি শৃঙখলা বিনষ্ট না করে। এসব কাজ করলে নিরাপত্তা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। 
তিনি বলেন, মাদকের চাহিদা কমানোর ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে। এখন সমাজের ওপরে নজর দেওয়া হচ্ছে। তরুণদের না বাঁচাতে পারলে সব পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে। এই তথ্যটা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। 
তিনি বলেন, ‘মাদক এ দেশে তৈরি হয় না। পাশের দেশ থেকে আসে বা বিভিন্নভাবে প্রবেশ করে। মিয়ানমার থেকে আইস, ইয়াবা প্রবেশ করে। ভারত থেকে ফেন্সিডিল আসছে। আমরা তা বন্ধে ভারতের সঙ্গে কাজ করছি। এখন অনেকটা কমেছে। মিয়ানমারের সঙ্গেও কাজ শুরু করেছি। কিন্তু তারা সেভাবে সহযোগিতা করছে না। সেজন্য কোস্টগার্ডকে গতিশীল করা হয়েছে। জলযান বাড়ানো হচ্ছে, তাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।’ 
তিনি বলেন, ‘আমাদের টার্গেট হচ্ছে মাদক প্রবেশ বন্ধ করা। এতো উদ্যোগের পরেও আবার কোনো উপায়ে যখন দেশে প্রবেশ করে তখন আইনশৃঙখলা বাহিনী তা প্রতিহত করে। যারা কারাগারে আছে তারা বেশির ভাগ মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিলো। আপনারা দেখছেন বিপুল পরিমান মাদক ধরা পড়ছে এবং তা ধ্বংসও করা হচ্ছে। আমরা মাদকাসক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’ 
ঐশির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই আপনাদের ঐশির কথা মনে আছে। যিনি মাদকের কারনে মা বাবাকে খুন করেছে। এমন ঘটনাও আছে মা বাবা এসে আমাকে বলেছে, আমার ছেলেকে জেলে ঢুকিয়ে দিন।  সন্তান যখন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে তখন বাবা মায়ের মতো কষ্টে আর কেউ পড়ে না। সেজন্য আমরা মাদকাসক্তদের সমাজে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’ 
প্রধানমন্ত্রীর মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেটা সামনে রেখেই কাজ করা হচ্ছে।  আমরা কয়েকটা হাসপাতাল করেছি। সবগুলো বিশেষায়িত হাসপাতাল। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের পুলিশসহ সকল বাহিনী কাজ করছে। তারপরেও কিছু মাদকদ্রব্য প্রবেশ করে তা প্রতিহতও করা হচ্ছে।’