বাসস
  ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩০

খাগড়াছড়িতে ৭৮ হাজার মে. টন আমন ধান  উৎপাদন 

 

খাগড়াছড়ি, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস): জেলায় ৭৮হাজার মেট্রিক টন আমন ধান উৎপাদন হয়েছে।  ৫ বার বন্যার পানিতে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হলেও হাল ছাড়েনি কৃষক। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন এতেই খুশি কৃষক।

গত আমন মৌসুমে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ৫ বার প্লাবিত হয় এখানকার আমন ফসল। এতে করে রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এত ক্ষতির পরও কিছু ফলস ঘরে তুলতে পেরেছে খাগড়াছড়ির কৃষকেরা।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় এবার ২৯ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চাষ  হয়েছে ২৬ হাজার ৯৯৪ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে ৭৮ হাজার মে. টন আমন ধান ।

এবার আমন ফসল রোপণের সময় পর পর ৫ বার বন্যার কবলে পড়েন খাগড়াছড়ির আমন ধান চাষীরা। এতে তলিয়ে যায় রোপণকৃত আমন চারা, ব্যাপক ক্ষতি হয় কৃষকদের। তবে কিছু ফসল স্থায়ীভাবে বিনষ্ট হলেও আবার পানি সরে গেলে কিছু ফসল ভেসে উঠে। ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে আবারো চারা ফেলে ধান রোপণ করেন অনেক কৃষক।

জেলা সদরের গোলাবাড়ী এলাকার কৃষক চাইলাপ্রু মারমা জানান, এমন প্রতিকূলতার মধ্যেও অবশেষে ফসল ঘরে তুলতে পেরে আমরা খুশি।

কমল ছড়ি এলাকার অতিশ চাকমা বলেছেন, অনন্ত ৬ মাসের খোরাক হলেও তুলতে পেরেছেন। আমন চাষ বন্যায় ক্ষতি হলেও আগামী বোরো চাষের ভালো ফলন পাবে বলে আশা করছেন তারা

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে আনতে প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। এছাড়াও বিকল্প চাষের পরামর্শ দিয়েছে তারা।

খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ বাছিরুল আলম জানান, জেলায় এবার ২৯ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চাষ  হয়েছে ২৬ হাজার ৯৯৪ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে ৭৮ হাজার মে. টন আমন ধান। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ হাজার ৫৬ হেক্টর আমন ফসল।

তিনি আরো জানান, পরপর বন্যায় ক্ষতি না হলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতো ।