শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস): বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), আয়াত এডুকেশন, জন সি. মার্টিন ফাউন্ডেশন এবং ইন্টিগ্রাল গ্লোবালের যৌথ উদ্যোগে তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতের কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য ও সুস্থ্যতা বিষয়ক একটি ডিজিটাল টুলকিট চালু করেছে।
আজ রাজধানীর উত্তরার বিজিএমইএ’র প্রধান কার্যালয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র প্রশাসক এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন। বিজিএমইএ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা (আইএলও), ওয়ালমার্ট, প্রাইমার্কসহ, তৈরি পোষাক শিল্পের ক্রেতা এবং কারখানা মালিকেরা। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে আমন্ত্রিত অতিথিরা ও কারখানার মালিকেরা স্বাস্থ্য এবং সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো আরএমজি খাতের কর্মীদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা নিশ্চিতে সহায়তা, স্বাস্থ্যসম্মত জীবন গঠনে সহায়তা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা।
স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য ডিজিটাল টুলকিট’টি হলো অনলাইন ব্যবহারকারীদের জন্য সহজবান্ধব একটি প্ল্যাটফর্ম, যা কর্মী ও কারখানা ব্যবস্থাপকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম। এটি বিজিএমইএ’র ওয়েবসাইটে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় পাঠযোগ্য এবং মোবাইল ডিভাইসে ব্যবহার উপযোগী। এতে ডাউনলোডযোগ্য ভিডিও কনটেন্ট এবং কারখানার আইটি সিস্টেমের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করার সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও এতে একটি ফিডব্যাক ব্যবস্থা রয়েছে, যা প্ল্যাটফর্মের কার্যকারিতা এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করবে।
বিজিএমইএ প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি, যা এই শিল্পের কর্মীদের প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমের ওপর নির্ভরশীল। আয়াত এডুকেশনের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বিষয়ক এই ডিজিটাল টুলকিট’টি একটি সময়োপযোগী এবং উদ্ভাবনী সমাধান, যা আমাদের এই শিল্পকে আরো শক্তিশালী, স্বাস্থ্যকর এবং টেকসই করবে। এই টুলকিট’টির মাধ্যমে বিজিএমই ছাড়াও অন্যান্য সেক্টর উপকৃত হবে। কর্মীদের স্বাস্থ্যগত উপাত্তগুলোকে নিয়মিত মনিটরিং করা জরুরি।’
অনুষ্ঠানে টুলকিট’টির বিভিন্ন কারিগরি বৈশিষ্ট্য ও দিকগুলো প্রদর্শন করা হয় এবং এটি কীভাবে তৈরি পোষাক খাতে কর্মরত কর্মীদের কল্যাণে ভূমিকা রাখবে তা তুলে ধরা হয়। উপস্থিত সবাই স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এবং প্রয়োজনীয় জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা দূর করার মাধ্যমে এই টুলকিট’টি বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি শিল্পের কর্মীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ও পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।