শিরোনাম
বান্দরবান, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস): বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের পূর্ব বেতছড়া পাড়ায় পুড়ে যাওয়া ত্রিপুরা পল্লী পরিদর্শন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
আজ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে লামা উপজেলার ডলুছড়ি মৌজার টংগাঝিরি এলাকার পূর্ব বেতছড়া পাড়ায় পরিদর্শনে যান তিনি।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, দেশের ভেতর এমনিতেই ষড়যন্ত্র চলছে। পার্বত্য এলাকাকে নিয়ে কেউ যেন নতুন ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার ভেতরে বাইরে ষড়যন্ত্র হতে পারে। মনে রাখতে হবে, প্রতিবেশী মিয়ানমার আমাদের এখান থেকে খুব বেশি দূরে নয়। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে তাদের অভ্যন্তরীণ গোলমাল চলছে। ওই দেশের গোলমাল যেন আমাদের এদিকে না আসে, কেউ যেন সুযোগ নিতে না পারে, সে বিষয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীসহ পার্বত্যবাসীকে খেয়াল রাখতে হবে।
পার্বত্য উপদেষ্টা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, পাহাড়ি বাঙালি যারা আছেন তাদের সবার নিরাপত্তার বিষয়টি বিগত সরকার সমতার ভিত্তিতে ভাবেনি। এখানেও রাজনৈতিক বৈষম্যকরণ হয়েছে। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। সবার অধিকার যাতে সমান নিশ্চিত করা যায়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তা গভীরভাবে উপলব্দি করে। সরকার এদেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চান।
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, এরকম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমরা নিন্দা জানাই। মুহূর্তের মধ্যে এ মানুষগুলো এভাবে উদ্বাস্তু হয়ে গেলো তা খুবই দুঃখজনক। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা ও বরাদ্দ দেওয়া হবে।
পরিদর্শনকালে উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কাওছারসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।
গত মঙ্গলবার রাতে পূর্ব বেতছড়া পাড়ায় ১৬টি বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তখন পাড়ার বাসিন্দারা সবাই গির্জায় বড়দিনের উৎসবে ছিলেন। পাড়ায় কোন লোকজন ছিল না। এ ঘটনার পর গত বুধবার রাতে লামা থানায় মামলা হলে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়াও বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার পূর্ব বেতছড়া পাড়া পরিদর্শন করেন।