শিরোনাম
ঢাকা, ৭ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব সুযোগ গ্রহণ করে অধিক বিনিয়োগের জন্য ভারতের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করায় বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশেরই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব হয়েছে।
আজ বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, ঢাকা সফররত ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) এর ডিরেক্টর জেনারেল ড. রাজীব সিং -এর নেতৃত্বে ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতকালে তিনি এ আহবান জানান।
এসময় ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলের সাথে আলাপকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই বাণিজ্য ও বিনিয়োগে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে - আর এটা সম্ভব হয়েছে দুদেশের সরকারের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কারণে। কোভিড-১৯ মহামারীর পর চলমান ভূ-রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার এই পরিস্থিতিতে আমাদের উভয় দেশের অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে করা উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ভারসাম্যপূর্ণভাবে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করার ওপর জোর দিয়ে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে সব ধরনের বাণিজ্য বাধা, বিশেষ করে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা অপসারণ জরুরি। তিনি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের অনুকূল বিনিয়োগ ব্যবস্থার সুযোগ গ্রহণ করে বাংলাদেশে অধিক বিনিয়োগের আহবান জানান।
ড. মোমেন ভারতের বিনিয়োগের জন্য বরাদ্দ মিরসরাই এবং মংলায় অবস্থিত দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে দ্রুততার সাথে শিল্প স্থাপনের উপর জোর দেন, যাতে আরও বেশি বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তারা উভয় দেশের অধিকতর অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগেরও আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের জন্য বিমসটেক চেম্বার অব কমার্স চালু করারও প্রস্তাব করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স দক্ষিণ এশীয় এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলটির (৬ হতে ৮ আগস্ট) ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশের বিভিন্ন চেম্বার এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে বৈঠকের কথা রয়েছে।