শিরোনাম
ঢাকা, ৮ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধকালীন হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় বাগেরহাটের কচুয়া ও মোড়লগঞ্জের খান আশরাফসহ ১৩ জনের বিষয়ে রায় যে কোনো দিন ঘোষণা করা হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল মামলায় প্রসিকিউশন ও আসামী পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখে আদেশ দেয়। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
প্রসিকিউটর রানাদাস গুপ্ত আজ বাসসকে বলেন, সোমবার উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রেখে আদেশ দেয়।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) ২৪ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। ২০১৭ সালের ৩১ মে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেয়া হয়। পরে ফরমাল চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। একই বছরের ২৮ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর সাত অপরাধে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) প্রসিকিউশন টিম থেকে দাখিল করা হয়।
মামলায় আসামিরা হলেন বাগেরহাটের খান আশরাফ আলী, খান আকরাম হোসেন, সুলতান আলী খান, রুস্তম আলী মোল্লা , ইদ্রিস আলী মোল্লা, মকছেদ আলী, শেখ মো. উকিল উদ্দিন, শেখ রফিকুল ইসলাম ওরফে বাবুল, মো. মনিরুজ্জামান হাওলাদার, মো. হাশেম আলী শেখ, মো. আজাহার আলী শিকদার, মো. মকবুল মোল্লা, মো. আব্দুল আলী মোল্লা।
আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাগেরহাট জেলার কচুয়া ও মোড়েলগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ ও হত্যার ৭টি অভিযোগ আনা হয়। ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে একই বছর খাঁন আকরাম হোসেন, ইদ্রিস আলী মোল্লা, শেখ মো. উকিল উদ্দিন এবং মকবুল মোল্লাকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এ চার আসামি কারাগারে রয়েছেন। বাকিরা পলাতক।
এর আগে ২০১৫ সালের ৪ জুন তদন্ত শুরু হয় এবং গত ২২ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে ৫৭ জন মূল ও ৩ জন জব্দ তালিকার সাক্ষীর জবানবন্দি নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করে তদন্ত সংস্থা। ওই দিনই আসামিদের বিরুদ্ধে ৭টি অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের ৪৫তম তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেয়া হয়।