শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দক্ষ প্রশাসক ও রাষ্ট্র চিন্তাবিদ হিসাবে বঙ্গবন্ধুর অবদান অসামান্য।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলার সাধারণ মানুষের মধ্য থেকে উঠে আসা অবিসংবাদিত ক্ষণজন্মা নেতা। সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষণ তিনি মত্যুর সাথে যুদ্ধ করেছেন।’
স্পিকার আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে জাতীয় সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে আবাসিক কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, হুইপ ইকবালুর রহিম এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে. এম. আব্দুস সালাম বক্তব্য প্রদান করেন।
জাতীয় সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আসিফ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মিঞা, জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি যুগ্মসচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার। যুগ্মসচিব এস এম মঞ্জুর বঙ্গবন্ধু স্মরণে কবিতা আবৃত্তি করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলার আপামর জনসাধারণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল গভীর আস্থা ও ভালোবাসা। পূর্ব বাংলার মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য রোধের জন্য বঙ্গবন্ধু সবসময় সোচ্চার ছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গমাতা নেপথ্যে থেকে সবসময় সহায়তা প্রদান করেছেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রের ভিত প্রস্তুত করেছেন। কৃষি উন্নয়ন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা, শিশু আইন, পরিকল্পনা কমিশন, প্রথম পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনা, কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন, সমুদ্রসীমা নির্ধারণ আইন পাস ছিল তাঁর দূরদর্শী প্রজ্ঞা।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে যে নৃশংস হত্যাকান্ড সংঘটিত করে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন মর্মস্পর্শী, অমানবিক ও বেদনাদায়ক ঘটনার নজির নেই। তিনি এসময় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন ছড়িয়ে দেবার এবং সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্সকে জাতির পিতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর ঘাতকেরা হত্যাকা-ের বিচার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি আইন পাশ করেছে এবং এর মাধ্যম পবিত্র সংসদকে কলুষিত করেছে। তিনি বলেন, হত্যাকারীরা চিহ্নিত শত্রু, তাদের সকলের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কুশলীবরাই মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী। তিনি বলেন, দেশ বিরোধী সকল শক্তিকে নির্মূল করতে হবে।
স্পিকার জাতীয় সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনকে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। এ আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সংসদ ভবনস্থ মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ ক্বারী মুফতি মোহাম্মদ আবু রায়হান।
এসময় সংসদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণমাধ্যম কর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।