বাসস
  ২৩ আগস্ট ২০২৩, ১৮:৩৭

জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে জাতীয় সংসদ কাজ করছে : স্পিকার

ঢাকা, ২৩ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : জাতীয় সংসদের স্পিকার  ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যন্ত জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে জাতীয় সংসদ কাজ করছে।  
তিনি বলেন, "বাংলাদেশ শোষণ বঞ্চনাহীন একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এদেশের সংসদ সদস্যরা জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে জনগণের জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছেন।"
স্পিকার আজ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইন্সটিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্ট্যাডিজ আয়োজিত 'সংসদীয় গণতন্ত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের গুরুত্ব' শীর্ষক সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কার্যক্রম  গ্রহণ করেছেন। জনগণের বহুমুখী উন্নয়ন সাধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী  কার্যকর আইন ও নীতি প্রণয়ন করেছেন।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী জনজীবনের সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিতকরণে নিরলস কাজ করে চলেছেন শেখ হাসিনা।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সমাজের অনগ্রসর জনগণের সুযোগের সমতা নিশ্চিতকরণের বিধান রয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় সমাজের অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য ৯ লাখ ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, কৃষকদের ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছেন, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের আওতায় গরীবদেরকে সাবলম্বী হবার সুযোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাজেট জনবান্ধব বাজেট। লিঙ্গ সংবেদনশীল এই বাজেটে সমাজের নারী ও শিশুদের কল্যাণের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়।
ড . শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অন্তর্ভুক্ত করে এদেশের দারিদ্র্য হার গত বারো বছরে শতকরা ৪০ থেকে ১৮ তে নেমে এসেছে। অতি দরিদ্র নারী, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্ত নারী, গর্ভবতী এবং ল্যাকটেটিং মায়েদের জন্যও বিভিন্ন ধরণের ভাতা ও আর্থিক সহায়তা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার লিডারশীপ এর কারণে বাংলাদেশ সকলের সহযোগিতায় ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি তালিকা থেকে বের হয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্পিকার।
এসময় স্পিকার এ ধরনের সেশন আয়োজনের জন্য ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইন্সটিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্ট্যাডিজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
ইন্সটিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্ট্যাডিজের ডিরেক্টর সহযোগী অধ্যাপক ইকবাল সিং সেভিয়ার সঞ্চালনায় এ সেশনে বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তৌহিদুল ইসলামসহ  ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইন্সটিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্ট্যাডিজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।