শিরোনাম
নারিতা, জাপান, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস): বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, সরাসরি বিমান যোগাযোগ টোকিওর সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও কার্যকর ও সম্প্রসারিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
আজ হোটেল ওয়েলকো নারিতাতে ঢাকা-নারিতা ফ্লাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাংলাদেশের এমজিএইচ গ্রুপ যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
শনিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ড্রিমলাইনার বোয়িং ৭৮৭ গাংচিল দীর্ঘ ১৭ বছর পর নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ট্যাক্সিওয়েতে অবতরণ করেছে, বিমানের ঢাকা-নারিতা রুটের সরাসরি প্রথম ফ্লাইট বিজি ০৩৭৬ এখানে এসে পৌঁছেছে।
আলী বলেন, বাংলাদেশ ও জাপান অদূর ভবিষ্যতে সম্পর্ককে ‘কমপ্রিহেনসিভ পার্টনারশিপ’ থেকে এখন ‘কৌশলগত পর্যায়ে’ উন্নীত করার চিন্তাভাবনা করছে।
তিনি বলেন, এই অবিরাম বিমান যোগাযোগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, পর্যটন, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া কার্যক্রমের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারিতা ফ্লাইট প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উপহার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৩ বছরে দেশে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রবাহ প্রায় তিনগুণ বেড়েছে উল্লেখ করে আলী বলেন, ‘এখানে আমি আপনাদের সবাইকে পর্যটনসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য সুস্পষ্ট আহ্বান জানাতে চাই।’
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন তার বক্তৃতায় বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বিনিময়ের পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে সাথে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডও দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাবে, যা জাপান ও বাংলাদেশ উভয়ের জন্যই সমান সুবিধাজনক পরিস্থিতি তৈরি করবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস জাপান-বাংলাদেশ নতুন কৌশলগত অংশীদারিত্ব অনুযায়ী দুই দেশের মধ্যে আর্থ-সামাজিক, বাণিজ্যিক, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুরক্ষিত ও আরও জোরদার করতে সরকারের পরিকল্পনা ও নীতি বাস্তবায়নে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম বলেন, নেপাল, ভুটান এবং প্রতিবেশী ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য থেকে যাত্রীদের আকর্ষণ করে নতুন রুটটিকে লাভজনক করতে বিমান আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, বিমান ইতিমধ্যেই তার নারিতা রুটে ব্যাগেজের বেশি ওজনসহ লোভনীয় প্যাকেজ অফার করেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল এবং নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও আকিহিকো তামুরা বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ এবং ৭৮৭-৯ এয়ারক্রাফট দিয়ে সাপ্তাহিক তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
ঢাকা থেকে প্রতি শুক্র, সোম ও বুধবার এবং নারিতা থেকে প্রতি শনি, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ফ্লাইট ছাড়বে।