বাসস
  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:০৩

সমালোচনা করার আগে সাইবার সিকিউরিটি বিলটি পড়ুন : মোমেন

ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস): পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার সংসদে পাস করা সাইবার নিরাপত্তা বিলটির সমালোচনা করার আগে সেটি পড়ার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, নতুন আইনে সকল উদ্বেগ দূর করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেউ বিদেশিদের কাছ থেকে সহানুভূতি পেতে নতুন আইনের সমালোচনা করতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ আইনটির সমালোচনা করলেও কোনো সমস্যায় পড়লে তারা সাধারণত সাহায্য চাইতে এগিয়ে আসে।
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যখন কেউ ইন্টারনেটে আপনার মা বা বোন সম্পর্কে খারাপ কিছু লেখে তখন আপনি কী করবেন? এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও বক্তব্য রাখেন।
আলম বলেন, আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে কয়েকটি বিদেশী দেশের কিছু আপত্তি ছিল, নতুন আইন সেসব আপত্তির বিষয়গুলোর সুরাহা করেছে এবং সকল উদ্বেগ দূর করেছে। আমরা আশা করছি, সবাই এটাকে ভালোভাবে গ্রহণ করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তুলনায় পশ্চিমা বিশ্বে কুখ্যাত কিছু আইন রয়েছে এবং না জানার কারণে সঠিক তুলনা বাস্তবে দেখা যায় না।
সাইবার সিকিউরিটি বিল ২০২৩ বুধবার সংসদে পাস করা হয়েছে যার চারটি ধারার অধীনে অপরাধ জামিন অযোগ্য করার বিধান রয়েছে, পূর্ববর্তী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ১৪টি ধারার অধীনে অপরাধগুলো জামিন অযোগ্য ছিল।
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির রবিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি যৌথ নন-লেজিসলেটিভ রেজুলেশন উত্থাপন করেছিল।
প্রস্তাবিত ইইউ রেজুলেশনের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিশেষ করে আমাদের আদালতে আইনি প্রক্রিয়াধীন ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো অপপ্রচার হলে সরকার চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারে না। আমরা আশা করি সাধারণ বিবেচনা (ইইউ পার্লামেন্টে) প্রাধান্য পাবে।
আজ বিকেলে মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ওয়াশিংটন দুঃখ প্রকাশ করছে যে, বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক মানদন্ড পূরণ করা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন আইনটি পর্যালোচনা ও মতামত দেয়ার জন্য অংশীদারদেরকে যথেষ্ঠ সুযোগ দেয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, দু:খজনক যে, সাইবার নিরাপত্তা আইনটিতে পূর্বের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেক ধারা রয়ে গেছে। নতুন আইনটিতেও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, জামিন অযোগ্য অপরাধ সংক্রান্ত বিধান বহাল রেখেছে এবং সমালোচকদের গ্রেফতার, আটক এবং চুপ করানোর জন্য খুব সহজেই অপব্যবহার করা হতে পারে।