শিরোনাম
নাটোর, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : সেবা প্রত্যাশী দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে নাটোরের স্থানীয় সরকার উন্নয়ন মেলা।
প্রথমবারের মত পালিত হওয়া জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে সদর উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী মেলা চলছে উপজেলা পরিষদ চত্বরে। আগামীকাল মূল্যায়নের মাধ্যমে মেলার সমাপন হবে।
মেলায় উপজেলা প্রশাসন ছাড়াও সেবা প্রদানকারী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ এবং নাটোর সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের স্টল প্রদর্শিত হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের স্টলে বিনামূল্যে পানির আর্সেনিক পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মডেলের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্যানিটেশন ব্যবস্থার ওয়াশ ব্লক, পৌরসভা এলাকার আয়রন বিমুক্তকরণ প্লান্ট ও উচ্চ জলাধার, গ্রামীণ জনপদে নির্মাণাধীন ৫ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার পানির উৎস।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের স্টলে উপজেলায় বাস্তবায়িত উন্নয়ন কার্যক্রমের বিবরণ জানা যাচ্ছে। বিগত ১৫ বছরে উপজেলায় বাস্তবায়িত গ্রামীণ জনপদের সড়ক, সংযোগ সেতু, সম্প্রসারিত উপজেলা কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স, প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা , খাল খনন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
বড় হরিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ স্টলে কর্মব্যস্ত ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মেহেদী হাসান জানান, গতকাল সারাদিনে তিনটি অভিযোগ দরখাস্ত, দুইটি ওয়ারিশান সনদের আবেদন, আটটি জন্ম নিবন্ধন আবেদন, চারটি ভোটার স্থানান্তরের আবেদন ও প্রত্যয়ন এবং চারটি প্রতিবন্ধী ও গর্ভবতী মায়েদের ভাতা প্রাপ্তির আবেদন কাজ মেলায় সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ সকাল থেকে ভিড় বাড়ছে।
দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ জানান, তিন দিনের মেলায় ইউনিয়নের স্টলে নাগরিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ইউনিয়নে প্রদত্ত সেবা প্রদানের পরিধি সম্পর্কে আগ্রহী দর্শনার্থীরা মেলার স্টলে ধারণা গ্রহন করছেন। মেলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথে ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয় আরো সুসংহত হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তার জানান, দেশে প্রথমবারের মত জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালনের প্রচলন করা হয়েছে। এই দিবস উদযাপন উপলক্ষে এই মেলা আয়োজনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগনের জন্যে দুই শতাধিক সেবা প্রদান কার্যক্রম এবং সেবা প্রদানের পদ্ধতি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে, সেবার পরিধিতে গতি সঞ্চার হবে, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় দলগত প্রচেষ্টা আরো জোরদার হবে। সর্বোপরি সেবা প্রদানের মাধ্যমে সরকারি দপ্তরগুলোর সাথে জনগনের মেলবন্ধন সুদৃঢ় হবে।