শিরোনাম
ঢাকা, ৩ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে আজ তার সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে ফেডারেল পার্লামেন্ট অফ নেপালের সংসদ সদস্য ড. আরজু রানার নেতৃত্বে নেপালের সংসদীয় প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রতিনিধিদলে সংসদ সদস্য আনিসা নেপালি, বিনিতা কাথায়াত, সুরিয়া কুমারি শ্রেষ্ঠা, রুপা চৌধুরী, প্রকাশ পান্থ, সারদা দেবী ভট্ট ও সিঘাবাহাদুর বিশ্বকর্মা এবং ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন, সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের সময় থেকেই নেপাল এদেশের অকৃত্রিম বন্ধু এবং দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে কোভিড ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি হিমশিম খেলেও বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নের পাশাপাশি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান, পাসপোর্টে মায়ের নাম অন্তর্ভুক্তিকরণ, নারীদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, শিক্ষাক্ষেত্রে নারীদের অভূতপূর্ব অগ্রগতি, কৃষি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, কৃষিতে ভর্তুকি প্রদান, দশ টাকায় কৃষকের একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা, ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার।
স্পিকার বলেন, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ও নেপালের এভারেস্ট পর্বত নিয়ে নেপাল-বাংলাদেশ যৌথভাবে পর্যটন প্যাকেজ তৈরি করলে উভয় দেশ লাভবান হতে পারে। বাংলাদেশ-নেপাল সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলা, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, লিঙ্গ সহিংসতা প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করতে পারে।
সুদীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে ড. আরজু রানা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সৌন্দর্য অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। সংসদের মূল ভবন, লাইব্রেরি ইত্যাদি সত্যিই অতুলনীয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের উন্নয়ন সত্যিই প্রশংসনীয়। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় সংসদ সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।