শিরোনাম
ঢাকা, ৪ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সেজন্য দেশের প্রতিটি অঞ্চলের খবর স্মার্টভাবে পত্রিকায় প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের উদ্যোগী হতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট সাংবাদিকতা জরুরি।
দৈনিকটির নামের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘দি ডেইলি পিপল’স লাইফ’ পত্রিকা মানুষের কথা বলবে, জনগণের নিত্যদিনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে।
স্পিকার আজ ঢাকা ক্লাবে নেক্সট পাবলিকেশন লিমিটেডের আয়োজনে ইংরেজি দৈনিক পিপলস লাইফ পত্রিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ পত্রিকার উদ্বোধক হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
দেশে ইংরেজি দৈনিক সংখ্যায় কম হলেও এর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক সময় পার করছে, যখন আমরা সারাবিশ্বের সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত। বিদেশি কূটনীতিকদের পাশাপাশি বহু দেশের নাগরিকরা এখানে রয়েছেন। তারা বাংলাদেশের মানুষ ও অগ্রগতি নিয়ে অনেক আগ্রহী। ডেইলি পিপলস লাইফ পত্রিকাটি বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীলতা সাংবাদিকতায় অঙ্গীকারাবদ্ধ।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি দায়িত্বশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে মুক্ত গণমাধ্যমের উদাহরণ এবং গণমাধ্যম যেহেতু রাষ্ট্র, সমাজ ও মানুষকে পথ দেখায়, তাই একে দায়িত্বশীল হতে হয়। ‘ডেইলি পিপল'স লাইফ’ পত্রিকা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে আশাপ্রকাশ করেন মন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, সমালোচনা থাকবে কিন্তু দেশ, মানুষ ও সরকারের অর্জনের প্রশংসাও থাকতে হবে। তাহলেই আমরা দেশকে স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপ দিতে পারবো।
পত্রিকার উদ্বোধন উপলক্ষে এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, মন্ত্রীর সহধর্মিণী নুরান ফাতেমা পত্রিকা সংশ্লিষ্ট ও অভ্যাগতদের নিয়ে কেক কাটেন।
নেক্সট পাবলিকেশনস লিমিটেডের কনসার্ন হিসেবে প্রকাশিত দি ডেইলি পিপলস লাইফ পত্রিকার প্রকাশক নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ। পত্রিকার সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য সাইমুম সারোয়ার কমল, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, রাজনীতিবিদ শমসের মবিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, প্রধান তথ্য অফিসার শাহেনুর মিয়া, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপপ্রচার সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও পিপল’স লাইফ পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলীর চেয়ারম্যান হাসান রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম পারস্পরিকভাবে জড়িত। তাই গণতন্ত্রকে সঠিক পথে রাখতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যথাযথ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে পত্রিকাটি দেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্পিকার।