শিরোনাম
ঢাকা, ১১ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের অবহিত করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আশঙ্কা করে সিইসিকে দেওয়া স্মারকলিপি প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখনো ওনারা আশঙ্কা করেন আগামীতেও এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতা হতে পারে। আমাদের কাছে আবেদন রেখেছেন আমরা যেন বিষয়টি বিবেচনায় নেই এবং আমাদের দিক থেকে যা করণীয় আছে তা যেন করি। আমরা বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। আমরা এটাও বলেছি যে, বিষয়টি আসলে দেখবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে যখন নির্বাচনের সঙ্গে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট হবে, সেটুকু পর্যন্ত আমাদের সংশ্লিষ্টতা এসে যায়। আমরা চিঠি দিয়ে সরকার, সরকারের ডিসি, এসপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ যারা যারা এর সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের আমরা অবহিত করবো, দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতা না হয়।’
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে আজ এই স্মারকলিপি দেন।
সিইসি বলেন, বাংলাদেশে অনেক সময় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও সহিংসতা হয়েছে। নির্বাচনকেন্দ্রিক সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়টিকে আমরা খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা কঠোরভাবে তাদের সতর্ক করে দেবো, এটা কখনোই কাক্সিক্ষত নয়। এটা কখনো সভ্য আচরণ হতে পারে না। এটা অমানবিক একটা বিষয়। আমরা এই ধরনের অমানবিকতাকে কখনোই প্রশ্রয় দেই না। আমরা এই ব্যাপারে তাদেরও অনুরোধ করেছি যে, সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আপনারা আপনাদের শঙ্কার কথা ব্যক্ত করে রাখেন।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের ১৫ দিন পর পর্যন্ত আমাদের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর থাকে। আমরা সেদিকে নজর রাখবো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্বাচনোত্তর দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, সংঘাত যাতে না হয়- এটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদের। যদি এটা না হয় এর দায়-দায়িত্ব তারাই বহন করবে।’
ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও শঙ্কার কথা জানিয়েছি। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, আমরা সবাই মিলে ভোট দিতে চাই। কিন্তু ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বলেছি, আমরা সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চাই। নির্বাচনি প্রচারণায় সাম্প্রদায়িকতাকে যে ব্যবহার করা, তার অবসান চাই।’
সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও গুজব ছড়িয়ে নির্বিঘেœ ভোটদানের পরিবেশ বিঘেœর অপচেষ্টা হয়, তা বন্ধ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অতীতেও নির্বাচনের আগে ইসির কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছি। কিন্তু আশ্বাস সবসময় আশ্বাসের মধ্যে থেকেছে, আমরা আশ্বস্ত হতে পারিনি। সিইসি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’