বাসস
  ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৪৩
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:৩০

গাজায় ৪ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ

জেনেভা, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক): জাতিসংঘ বলেছে, হামাসের আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলি বোমা হামলার পর গাজা উপত্যকায় ৪ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিনের শেষ পর্যন্ত গাজায় বাস্তুচ্যুতদের সংখ্যা ৮৪,৪৪৪ জন বেড়ে ৪ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৮ জনে পৌঁছেছে।
হামাসের শনিবারের হামলার জবাবে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা চালানোর ঘোষণা দেয়।
হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ১২০০ ইসরাইলি মারা যায় এবং প্রায় ১৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে।
হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইল ২৩ লাখ লোকের একটি ঘনবসতিপূর্ণ ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় নির্বিচারে বিমান ও কামানের গোলা হামলা চালিয়ে গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। এতে ভবনগুলো মাটির সাথে মিশে গেছে। এই নির্বিচার হামলা চালিয়ে ইসরাইল ১,৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে লোককে হত্যা করেছে। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
ইসরাইল ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে স্থল অভিযান শুরু করেছে।
ওসিএইচএ বলেছে, ‘আকাশ, সমুদ্র এবং স্থল থেকে ভারী ইসরাইলি বোমাবর্ষণ প্রায় নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রয়েছে।  
ওসিএইচএ জানায়, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একাধিক আবাসিক ভবন ধ্বংস করা হয়েছে।’
এতে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুতদের দুই-তৃতীয়াংশ ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সমর্থনকারী জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় চেয়েছে।
আরও প্রায় ২৭ হাজার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের কাছে এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে।
ওসিএইচএ জানিয়েছে, শনিবারের হামলার আগে প্রায় ৩,০০০ মানুষ ছিটমহলের মধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ওসিএইচএ গাজার গণপূর্ত ও আবাসন মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা উদ্ধৃত করে বলেছে, বোমা হামলার অভিযানে ৭৫২টি আবাসিক এবং অনাবাসিক ভবন ধ্বংস হয়েছে। যার মধ্যে ২,৮৩৫টি আবাসন ইউনিট রয়েছে।
আরও প্রায় ১,৮০০টি আবাসন ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের সংস্থাটি ইসরাইল হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বেসামরিক অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য ধ্বংসের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।