শিরোনাম
ওয়াশিংটন, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক পদক্ষেপ বা হামাসের হামলার পর এই যুদ্ধকে প্রসারিত করার কোনো প্রচেষ্টা ঠেকাতে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দ্বিতীয় একটি বিমানবাহী রণতরী স্ট্রাইক গ্রুপ পাঠাচ্ছে।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন শনিবার একথা বলেন।
ইউএসএস আইজেনহাওয়ার এবং এর অধিভুক্ত যুদ্ধজাহাজগুলো এক সপ্তাহ আগে ইসরায়েলে হামলা এবং ইসরায়েলের চলমান প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই এই অঞ্চলে মোতায়েন করা অন্য একটি ক্যারিয়ার গ্রুপে যোগ দেবে।
অস্টিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই মোতায়েন ওয়াশিংটনের ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দৃঢ় অঙ্গীকার এবং এই যুদ্ধ বাড়ানোর জন্য যে কোনো রাষ্ট্র বা অ-রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টাকে বাধা দেওয়ার জন্য আমাদের সংকল্পের ইঙ্গিত দেয়।’
হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে এক সপ্তাহ ধরে ইসরাইল গাজায় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে গাজা ধ্বংসস্তুপে পরিণত করার পর এখন গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের নির্মূলে ভয়াবহ স্থল অভিযান শুরু করেছে। এতে গাজায় এক অবর্ণনীয় মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
গাজায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েল নির্বিচার বিধ্বংসী হামলা চালিয়ে গাজায় ২,২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে যুদ্ধাস্ত্র পাঠিয়েছে এবং অন্যান্য দেশকে সংঘাত না বাড়াতে সতর্ক করেছে।
দ্বিতীয় বিমানবাহী যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েনের ঘোষণার একই দিনে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে একটি ফোন কলে গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ এবং বোমাবর্ষণের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার প্রচেষ্টার জন্য মার্কিন সমর্থনের উপর জোর দেন।
হোয়াইট হাউস এই ফোনালাপ সম্পর্কে একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার সমস্ত প্রচেষ্টার জন্য তার সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’