শিরোনাম
জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক): জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সোমবার মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে রাশিয়ার একটি প্রস্তাব বাতিল করেছে। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো এমন একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করতে অস্বীকার করেছে। তবে হামাসের আকস্মিক হামলার জন্য কোন নিন্দা প্রকাশও করেনি। ইসরাইলে হামাসের এই হামলায় অন্তত ১,৪০০ জন নিহত হয়েছে।
গাজায় বিমান ও আর্টিলারি হামলায় সর্বশেষ ২৮০৮ জন নিহত হওয়ার পর গাজা উপত্যকায় ইসরালের একটি স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নেয়ার প্রেক্ষিতে কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত আটকে গেছে।
হোয়াইট হাউস বলেছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার ইসরাইল সফর করবেন। এই সফরে প্রধান মিত্র ইসরাইলের প্রতি একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমর্থনের পাশাপাশি গাজায় তার কার্যক্রমে সংযমের আহ্বান জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদে চারটি দেশ রাশিয়ার প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ চারটি দেশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। আর ছয়টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। একটি দেশ অনুপস্থিত ছিল।
কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসলামপন্থী গোষ্ঠীকে নিন্দা করে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ব্রাজিলের দ্বিতীয় একটি প্রস্তাবে বৃহত্তর সমর্থন আশা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, ব্যর্থতা সত্ত্বেও প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদকে পদক্ষেপ নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, ‘এটি এই বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরু করতে অবদান রেখেছে। আমাদের উৎসাহ না থাকলে সবকিছুই হয়তো খালি আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত।’
যুক্তরাজ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অবস্থান নিয়ে রাশিয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মস্কোর পরামর্শের অভাবের সমালোচনা করেছে এবং রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছে যে, তারা ঐকমত্যে পৌঁছাতে জোরালো প্রচেষ্টা চালাচ্ছে না।
বারবারা উডওয়ার্ড পরিষদকে বলেন, ‘হামাসের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করতে ব্যর্থ হয় এমন একটি প্রস্তাবকে আমরা সমর্থন করতে পারি না।’
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আক্রমণকে প্রতিহত করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের কাজ করা নৈতিক দায়িত্ব ছিল, যেখানে প্রতি ঘন্টায় ১২ জন প্রাণ হারিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের জীবন কোন ব্যাপার নয় এমন সংকেত পাঠাবেন না।’
তিনি বলেন, ‘বলতে সাহস করবেন না যে ইসরাইল তাদের মাথার উপর যে বোমা ফেলছে তার জন্য ইসরাইল দায়ী নয়।’
রিয়াদ মনসুর বলেন, ‘গাজায় যা ঘটছে তা কোনো সামরিক অভিযান নয়। এটা আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে পুরো মাত্রার নির্মূল অভিযান। এটা নিরীহ বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে গণহত্যা।’
ইসরাইল বিচ্ছিন্ন গাজা উপত্যকায় পানি ও বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে এবং ঘনবসতিপূর্ণ ছিটমহলের উত্তরে দশ লাখেরও বেশি মানুষকে সরে যেতে সতর্ক করেছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সমর্থনকারী জাতিসংঘ সংস্থা সতর্ক করেছে, গাজা উপত্যকা একটি ‘অভূতপূর্ব মানব বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে যদি পানি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ পুনরুদ্ধার করা না হয়।’