শিরোনাম
সংসদ ভবন, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ঢাকায় মহাসমাবেশের নামে বিএনপি বিগত ২০১৪-১৫ সালের মতো সহিংস পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে।
তারা পরিকল্পনা মাফিক এ সব ঘটিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির এ ধরনের সহিংসতা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে একটি অসাংবিধানিক ইস্যুকে প্রাধান্য দিয়ে এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছে।'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ জাতীয় সংসদে শনিবারের ঘটনার বিষয়ে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বিবৃতিতে এ সব কথা জানান।
তিনি বলেন, 'বিএনপি সমাবেশের অনুমতি নেওয়ার আগে বলেছিলো তারা নাইটেঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল এলাকার মধ্যেই থাকবে। কিন্তু আমরা দেখলাম তারা নাইটেঙ্গেল মোড় ছেড়ে ইচ্ছা করেই কাকরাইলে বিচারপতির বাসভবন ও জাজেজ কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান নেয়। আমাদের যুবলীগ ও যুব মহিলা লীগের মেয়েরা যখন প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে দিয়ে আসছিলো তখনই আক্রমণ করে তাদের উপর। তারা সেসময় সেখানে গাড়ি ভেঙেছে, গাড়িতে আগুন দিয়েছে। সে সময় পুলিশ সদস্যরা তাদের রক্ষা করে। তারা প্রধান বিচারপতির বাসায় জোরপূর্বক ঢুকে পড়ে। তারা বলেছিলো সমাবেশ করে চলে যাবে, সেটি না করে তারা ধ্বংসযজ্ঞ চালালো।'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা দেখলাম ছাত্রদলের একজন নেতা পুলিশের সদস্যকে পেটাচ্ছে। তাকে নির্মমভাবে পেটানো হয়, পিটিয়ে মারা হয়। তাকে পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এমনকি সংবাদকর্মীদের উপরও তারা চড়াও হয়। সেখানে তারাও সেবা নিতে গিয়েছিল। এমন সময় তারা সেখানেও ঢুকে বড় দুইটি হামলা করল। পুলিশের যারা সেবাদান করছিলো তাদেরও মারধর করেছে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে।'
তিনি বলেন, ইসরাইল গাজায় হাসপাতালে হামলা করছে, সারাবিশ্ব নিন্দা জানাচ্ছে। কিন্তু বিএনপির কর্মীরও ঠিক তেমন ঘটনাই ঘটালো। আমার ধারনা তারা পরিকল্পনা মাফিক এসব ঘটিয়েছে। তারা পুলিশ সদস্যের উপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশ সদস্যের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়েছে। এটি কোন মানুষ সহ্য করবে না। আমাদের ১১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।'
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, 'তারা পুলিশকে মারল, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামালা করলো, সাংবাদিকদের মারল, যুব মহিলা লীগের নেত্রীদের মারল। আবার তারাই হরতাল ডাকল। শুধু হরতাল ডেকেই ক্ষান্ত হয়নি, ডেমরায় একটি বাসে আগুন দিয়ে বাসের হেলপারকে পুড়িয়ে মেরেছে। তারা ২০১৫ সালের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি করছে। এ পর্যন্ত ২৬টি গাড়ি পুরোপুরি পুড়িয়েছে, এবং অনেক গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। পুলিশ ধৈর্য্যরে সাথে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড মোকাবেলা করছে। পুলিশ হাসপাতালের সবগুলো এ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়েছে। পুলিশের একজন এডিশনাল এসপির মুখে ককটেল ছুরে মেরেছিলো, হেলমেট পড়া ছিলো তাই সে রক্ষা পেয়েছে। ২০১৫ সালের মতো পরিস্থিতি করার জন্য তারা এই ধরণের ঘটনা একের পর এক ঘটিয়ে যাচ্ছে।'