শিরোনাম
আস্তানা, কাজাখস্তন, ৯ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক): রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার কাজাখস্তান সফর করছেন।
এদিকে তুর্কি নেতা রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে নতুন করে কূটনৈতিক আগ্রহের মধ্যে উজবেকিস্তানে এক সম্মেলনে মিলিত হবেন।
মধ্য এশিয়ার সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোতে মস্কোর প্রভাব বলয়ে তাদের অংশীদারিত্বকে বৈচিত্র্যময় করার চেষ্টা করেছে।
রাশিয়ার নেতা এবং তার কাজাখ সমপক্ষ কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ আস্তানায় তাদের পরিকল্পিত বৈঠকের আগে এক সাক্ষাৎকারে তাদের দেশের সম্পর্কের প্রশংসা করেছেন।
একটি ‘সমৃদ্ধ অতীত এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সাথে জোটের’ ব্যাপারে টোকায়েভের প্রশংসার প্রেক্ষিতে পুতিন বলেছেন, ‘আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব সত্যিই দূরদর্শী।’
যদিও সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের তিন দশক পর, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে আটকে পড়ায় অন্যান্য বিশ্বশক্তিগুলোর মধ্য এশিয়ায় বিনিয়োগ বাড়িয়েছে।
চীন তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ, একটি বিশাল অবকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে সমগ্র অঞ্চল জুড়ে একটি প্রধান অংশীদার হয়ে উঠেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান এবং তুরস্ক মধ্য এশিয়ায় সম্পর্ক জোরদার করতে চায়। এরমধ্যে গত সপ্তাহে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সফরের এক সপ্তাহ পরে পুতিন এই কাজাখস্তান সফর করছেন।
আস্তানা থেকে ১,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দক্ষিণে, উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
শহরটিতে ইরান ও তুরস্কের প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার এবং মধ্য এশিয়ার নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার ইতোমধ্যে উজবেকিস্তানে পৌঁছেছেন। উজবেকিস্তান বলেছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ এজেন্ডায় নেই।
হামাস পরিচালিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে হামাসকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণ এবং স্থল আগ্রাসনে ১০,৫০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশীরভাগ নারী ও শিশু।
রাষ্ট্রীয় সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, তেহরান বলেছে তারা সংঘাত নিয়ে আলোচনা করতে চায়, বুধবার তাজিক নেতা ইমোমালি রহমানের সাথে বৈঠকের সময় রাইসি ইতিমধ্যেই সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ইসরায়েল এবং তার পশ্চিমা সমর্থক উভয়ের বিরুদ্ধে এরদোয়ান কড়া সমালোচনা করেছেন, তিনি তার সম্ভবত গাজায় ইসরায়েলের ভয়ংকর হামলা এবং হাজার হাজার মানুষ হত্যার বিষয়টিকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসবেন। তবে বেশির ভাগ আলোচনায় বাণিজ্য, মানবিক সহযোগিতা এবং পরিবহন বিষয়ে আলোকপাত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থলবেষ্টিত মধ্য এশিয়ার দেশগুলো পাকিস্তানসহ সমুদ্রের সুবিধার দেশগুলোর মাধ্যমে সমুদ্র পথে প্রবেশের চেষ্টা করছে। রাশিয়া এই অঞ্চলে চাপের মধ্যে রয়েছে, তবে এটি একটি মূল অংশীদার রয়ে গেছে। মস্কো কাজাখস্তানের মাধ্যমে উজবেকিস্তানে গ্যাস সরবরাহ চালু করাসহ বড় আকারের জ্বালানি প্রকল্প চালু করেছে।