বাসস
  ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:৪০
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:৪৬

শিল্পকলা একাডেমিতে গণজাগরণের সংগীত ও বরিশাল বিভাগীয় সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) :‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির  শিখরে’ এই প্রতিপাদ্য সামনে  নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৩য় দিনের আয়োজনে আজ ‘গণজাগরণের সংগীত উৎসব’ ও বরিশাল বিভাগীয় সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষ্যে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সকল শিল্পের শিল্পীরা যেন পেশাভিত্তিক শিল্পচর্চা করতে পারে, সেই জায়গাই আমরা পৌছে যেতে চাই। ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে হবে সেই কথাটি তিনি ১৯৭৪ সালেই বলেছিলেন। সেই সূত্রেই সাংস্কৃতিক আন্দোলনে যারা ভুমিকা রেখেছেন তাদের হাতে হাত রেখে আমরা কাজ করে যেতে চাই। এভাবেই আন্তর্জাতিক পরিসরেও আমরা পৌছে যাব।’’
সামগ্রিক উন্নয়ন পক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করতে ৫ শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণে ২-৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত  শিল্পকলা একাডেমির চলছে ‘গণজাগরণের সংগীত উৎসব।’
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত শিল্পীদের অংশগ্রহণে চলছে এই উৎসব। ৩য় দিনে অনুষ্ঠানের শুরুতেই ১ম পর্বে রাগিনী দলের পরিবেশনায় দলীয় সংগীত ‘ধন্যধান্য পুষ্পভরা’ ও   বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’ পরিবেশিত হয়েছে। এর পর একক সংগীত ‘আমি খুঁজে বেড়াই’ পরিবেশন করেন জেবুন্নেছা সরকার নিঝুম। একক সংগীত পরিবেশন করেন মো. মতিউর রহমান ‘তুমি রবে নীরবে’, নাসরিন আক্তার পরিবেশন করেন ‘কে আবার বাজায় বাঁশি’। এর পর একক সংগীত পরিবেশন করেন  মো. সম্রাট আকবর, ‘আজো মধুর বাঁশরি বাজে’। হিমাদ্রী বিশ্বাস পরিবেশন করেন ‘জীবনানন্দ হয়ে’। রথিন টিকাদার পরিবেশন করেন ‘কে তুমি তন্দ্রা হরণী’। দেশের গান পরিবেশন করেন নূর-ই- জান্নাত, ‘একটি বাংলাদেশ’। যশোদা রাণী রায় সংগীত পরিবেশন করেন ‘ভালো লাগে’। এরপর দিলরুবা আক্তারের কন্ঠে পরিবেশিত হয় জনপ্রিয় সঙ্গীত দসাদা সাদা কালা কালা’।  একক সংগীত পরিবেশন করেন মিরাজ শিকদার দগুরুগত না হইলে’।
২য় পর্বে নন্দনমঞ্চের এ আয়োজনে সুরধ্বনি দলের পরিবেশনায় দলীয় সংগীত ‘আমার দেশের মতন এমন’ ও চল চল চল’ এবং ‘সাড়ে সাত কোটি মানুষের’ ও ‘বান এসেছে মরা গাঙ্গে’পরিবেশিত হয়েছে। জাহিদুল ইসলাম এর কন্ঠে একক সংগীত ‘ভেবো না গো মা’ পরিবেশিত হয়। শিল্পী চক্রবর্তীর কন্ঠে ‘মম মধুর মিনতি’;  খুকু রানী দাসের কন্ঠে ‘বিনোদিনী গো’এবং জুলি শমিলীর কন্ঠে ‘ওগো মধুমিতা’সংগীত পরিবেশিত হয়। শহীদুজ্জামান মামুনের কন্ঠে ‘আমি বৃষ্টির কাছে থেকে’পরিবেশন করেন। ৬ দিনব্যাপী সংগীত উৎসবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত ১১ টি সংগীত দল পরিবেশন করছে । আগামী ১০ ডিসেম্বর  বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সকল বিভাগ ও জেলাগুলোতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব। জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যাবস্থাপনায় সারাদেশে ৬৪ জেলায় ধারাবাহিকভাবে এ উৎসব আয়োজন চলছে।