শিরোনাম
তেল আবিব, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক) : ইসরায়েল বলেছে, নিজেদের ভূলে গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি ৩ জনকে হত্যা করেছে সেনা বাহিনী। এসব জিম্মিদের হুমকি মনে করায় তারা এই হামলা চালায়। সশস্ত্র বাহিনী এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে।
এদিকে এসব জিম্মি নিহতের ঘটনায় তেল আবিবে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। খবর এএফপি’র।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, গাজা নগরীর পার্শ্ববর্তী একটি এলাকায় অভিযান চলাকালে তাদের সৈন্যদের গুলিতে ইয়োতাম হাইম, অ্যালোন শামরিজ এবং সামের এল-তালালকা নিহত হয়।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তিন জিম্মির মৃত্যুকে ‘একটি ‘করুণ ট্রাজেডি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এদিকে হোয়াইট হাউস ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক ভুল’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তিন জিম্মির নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে তেল আবিব শহরে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শ’ শ’ মানুষ জড়ো হয় এবং তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি পতাকা হাতে নিয়ে গাজায় এখনো জিম্মি ১২৯ জনের মুক্তির দাবি জানায়।
তেল আবিবে জিম্মিদের আত্মীয়রা আরো বেশি লোককে মুক্তি দেওয়ার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
গত নভেম্বরে কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি স্বল্প মেয়াদি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে শতাধিক জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলায় প্রায় ১২শ’ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। হামাস সদস্যরা প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে এবং গাজায় নিয়ে যায়। এসব জিম্মির মধ্যে তারা নিহত তিন জনও ছিল।
হামাসের এমন হামলার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা শুরু করে।
সেখানে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গাজা উপত্যকায় এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ১৯ হাজার নিহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় গাজার কিছু অংশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।