শিরোনাম
॥ মনোজ কুমার সাহা ॥
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ২৫ ডিসেম্বর। এদিন যীশু খ্রিষ্টের জন্ম দিন। দিনটিকে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ শুভ বড়দিন হিসেবে উদযাপন করেন। বড়দিনকে সমনে রেখে গোপালগঞ্জের খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। বর্ণিল সাজে সেজেছে খ্রিস্টান বাড়িগুলো। ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে। বড়দিনের তারা জ্বলছে খ্রিষ্টান পল্লীর বাড়িতে বাড়িতে । ১ ডিসেম্বর থেকে জেলার ১৪ টি মন্ডলীর আয়োজনে চলছে প্রভাতী কীর্ত্তণ। প্রতিদিনই উৎসব মুখর পরিবেশে জেলার গীর্জাগুলোতে প্রাক্ বড়দিন উদযাপন করা হচ্ছে । গোপালগঞ্জের খ্রিষ্টান পল্লীতে উৎসব মুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপনের সমস্ত প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
গোপালগঞ্জ খ্রিষ্টান ফেলোশিপের সভাপতি প্রভাষ বাড়ৈ বলেন, গোপালগঞ্জে বরাবর উৎসব মুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপিত হয়ে আসছে। এবছরও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ জেলা সম্প্রীতির গোপালগঞ্জে উৎসব মুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপিত হবে। ইতিমেধ্যে গীর্জাগুলো ধুয়ে মুছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। রংএর ছটায় সেজেছে গীর্জাঘর। বর্ণিল পতাকা ও ফুলেল সাজে সেজেছে প্রতিটি গীর্জা। এখন আলোকসজ্জায় ঝলমল করছে ভজনালয়গুলো । বড়দিনের আগে প্রাক্ বড়দিন উৎসব হচ্ছে। এছাড়া ১৪ টি মন্ডলীর পক্ষ থেকে ১ ডিসেম্বর থেকে বের করা হচ্ছে প্রভাতী কীর্ত্তণ। খ্রিষ্টান বাড়িতে ক্রিসমাসট্রি সাজানো হয়েছে। টানোনো হয়েছে বড়দিনের তারা। খ্রিষ্টান পল্লী ও গীর্জায় এখন সাজসাজ রব। বিরাজ করছে উৎসব মুখর পরিবেশ। আমরা মনেকরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার সরকার আমাদের বড়দিনের উৎসবকে আরো মুখরিত করতেই এ সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশ খ্রিস্টান যুব এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শিমিয়োন হাজরা জয় বলেন, বড়দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, খ্রিস্টান পল্লী ও ১৭০ গীর্জা উৎসব মুখর হয়ে উঠছে। এবার আমরা উৎসব মুখর পরিবেশ বড়দিন উদযাপন করব। ইতিমধ্যে বড়দিন উদযাপনের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। বড়দিন উদযাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার সব ধরণের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গোপালগঞ্জ সদর আসনের এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিমের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
গোপালগঞ্জ শহরের আগাপে চার্চের পাস্টার স্যামুয়েল এস বালা বলেন, যীশুখ্রিষ্টের জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর আমাদের কাছে একটি আনন্দঘন শুভদিন। ২৪ ডিসেম্বর রাত ৯ টা থেকে আমাদের গীর্জায় বড় দিনের প্রার্থনা শুরু হবে। চলবে রাত ১টা পর্যন্ত। ২৫ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় আমাদের গীজায় প্রার্থনা শুরু হয়ে দুপুর ১ পর্যন্ত চলবে। প্রার্থনা শেষে এদিন দুপুরে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। বিকেলে সুধীজনের সাথে বড় দিনের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে। বড়দিনের প্রার্থনসহ অনুষ্ঠানমালা সফল করতে গীর্জায় মহড়া চলছে। এতে প্রতিদিন বিকেলে বিপুল সংখ্যক খ্রিস্টান নারী-পুরুষ অংশ নিচ্ছেন। বড়দিনকে ঘিরে আমাদের গীর্জা এখন উৎসব মুখর হয়ে উঠেছে।