বাসস
  ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:২৩

জয়পুরহাটে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য ৫ হাজার ৪২৬ কর্মকর্তা প্রস্তুত

জয়পুরহাট, ৬ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : আগামীকাল ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জয়পুরহাটের সংসদীয়  ২ টি আসনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠানের জন্য  ৫ হাজার ৪২৬ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা  প্রস্তুত। ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের  প্রশিক্ষণও শেষ হয়েছে। আজকে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে ভোট গ্রহণ উপকরণ।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম জানান,  জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলা নিয়ে ১ আসন গঠিত। এ আসনে ৭ জন প্রার্থী রয়েছেন। এখানে ভোট কেন্দ্র হচ্ছে ১৫১ টি। এরমধ্যে রয়েছে জয়পুরহাট সদরে ৮২টি কেন্দ্র ও পাঁচবিবি উপজেলায় ৬৯টি কেন্দ্র।  এ আসনে মোট ভোটার হচ্ছে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ জন। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৪৪ জন ও মহিলা ভোটার হচ্ছে ২ লাখ ২২ হাজার ৬৭৭ জন, তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ছয় জন। কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলা নিয়ে জয়পুরহাট-২ আসন গঠিত। এ আসনে ৮ জন প্রার্থী  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে ভোট কেন্দ্র হচ্ছে ১০৩ টি। এরমধ্যে রয়েছে কালাই উপজেলায় ৩৭টি, ক্ষেতলাল উপজেলায় ৩০টি ও আক্কেলপুর উপজেলায় ৩৬টি কেন্দ্র। এ আসনে মোট ভোটার হচ্ছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭২ জন। পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৬ হাজার ৫৯০ জন ও মহিলা ভোটার হচ্ছে এক লাখ ৬৯ হাজার ৩৮১ জন। এখানে হিজড়া ভোটার রয়েছেন একজন। তফসিল অনুযায়ী আগামীকাল ৭ জানয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন ভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে  ইতোমধ্যে জয়পুরহাট-১ ও ২ আসনের জন্য  ৫ হাজার ৪২৬ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে এবং তাদের প্রশিক্ষণও শেষ হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ২৫৪ জন, সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা  এক হাজার  ৭ শ ২৪ জন ও  পোলিং কর্মকর্তা রয়েছেন ৩ হাজার ৪ শ ৪৮ জন।  ইতোমধ্যে জেলা ট্রেজারী থেকে ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য ভোট গ্রহণ উপকরণ উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে। আজ শনিবার  কেন্দ্রের  দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিকট ভোট গ্রহণ উপকরণ বুঝে দেওয়া হবে এবং শুধুমাত্র ব্যালট পেপার  ভোটের দিন সকালে পাঠানো হবে বলে জানান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: ফজলুল করিম।
সূত্রটি আরো জানায়, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভোট গ্রহণ এলাকায় আইনশৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করার জন্য  জেলার পাঁচ উপজেলাতেই বিজিবি’র ক্যম্প স্থাপন করা হয়েছে। প্রতি উপজেলার জন্য  ২ প্লাটুন করে বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার সদস্যদের পাশাপাশি  গোয়েন্দা পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে এবং র‌্যাব ও  পুলিশের  আলাদা  ট্রাইকিং ফোর্স  দায়িত্ব পালন করবে বলে জানান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম। ভোট কেন্দ্রের  বিশৃংখলা প্রতিরোধে  উপজেলা ভিত্তিক দায়িত্ব পালনকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা হচ্ছেন জয়পুরহাট সদর উপজেলায় জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উপসচিব খাদিজা তাহেরা ববি’র নেতৃত্বে থাকবেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব আকতারুন নেছা, জয়পুরহাট সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিব হোসেন ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহবুব। পাঁচবিবি উপজেলায় পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান মাশুকাতে রাব্বির নেতৃত্বে  স্বাস্থ্য  শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব নাহিদ হাসান, পাঁচবিবি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফ আফজাল রাজন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উজ্জল বাইন, আক্কেলপুর উপজেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে আক্কেলপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুনিরা সুলতানা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কশিমনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শামীম হোসাইন, কালাই উপজেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসটি) মোহা: সবুর আলীর নেতৃত্বে  জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাবেল উদ্দিন ও মিজানুর রহমান এবং ক্ষেতলাল উপজেলার জন্য  ক্ষেতলাল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)  জিন্নাতুল আরা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আজহারুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান, জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সালেহীন তানভীর গাজী। সুষ্ঠু ও শান্তিপূণর্  পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠানের জন্য  বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য জয়পুরহাট-১ আসনের জন্য ১৬০ জন সেনাসদস্য ও জয়পুরহাট-২ আসনের জন্য ১২০ জন সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করছেন বলেও জানান তিনি।