শিরোনাম
তেল আবিব, ৮ জানুয়ারি, ২০২৪(বাসস ডেস্ক): মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন সোমবার ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন।
যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশংকার মধ্যেই গাজা নিয়ে কঠোর আলোচনা তার এ সফরের উদ্দেশ্য বলে জানা গেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সংঘাত দখলকৃত পশ্চিমতীরসহ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় লেবানন সীমান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগর ও ইসরায়েলে একশ’রও বেশি ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
এ রকম প্রেক্ষাপটে রোববার দোহায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানিকে সাথে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এন্টনি ব্লিঙ্কেন সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের ব্যাপক অংশজুড়ে নিরাপত্তা হুমকিও তৈরি হতে পারে।
সংঘাত ও উত্তেজনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্য সফরে থাকা ব্লিঙ্কেন আরো বলেছেন, এখন এ অঞ্চলে গভীর উত্তেজনা চলছে। এটি এমন একটি যুদ্ধ যা খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। যার কারণে আরো নিরপত্তাহীনতা ও দুর্ভোগ দেখা দিতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান পরিকল্পনায় অবশ্যই গাজার বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা দেয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে থাকা উচিত। এছাড়া নাগরিকদের প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত থাকা অতি অবশ্যই জরুরি।
ইসরায়েলের দুই মন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে তাড়িয়ে দেয়ার কথা বলার প্রসঙ্গে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, তারা এটা পারে না। তারা ফিলিস্তিনীদের গাজা ত্যাগের জন্যে চাপ দিতে পারে না।
যুদ্ধ শুরুর পর চতুর্থ দফায় মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন ব্লিঙ্কেন। তিনি ইসরায়েল সফরের আগে সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব সফর করবেন। মঙ্গলবার তিনি ইসরায়েলী নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করবেন। এছাড়া কাতার যাওয়ার আগে ব্লিঙ্কেন জর্ডান, তুরস্ক ও গ্রিস সফর করেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালানোর পর ইসরায়েলও গাজায় পাল্টা নির্বিচারে হামলা শুরু এবং হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করে।
গাজায় ইসরায়েলী হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২২ হাজার ৮৩৫ বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার কেবিনেট বৈঠকে আবারো দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেছেন, ৭ অক্টোবর যা ঘটেছে তা আর ঘটবে না।
এটি তার সরকারের অঙ্গীকার উল্লেখ করে তিনি আরো বলেছেন, এ কারণে আমাদের সৈন্যরা জীবন দিচ্ছে। বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।