শিরোনাম
সিউল, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক) : উত্তর কোরিয়া শুক্রবার বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের যৌথ নৌ মহড়ার জবাবে ‘পানির নিচে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার’র একটি পরীক্ষা চালিয়েছে। ওয়াশিংটন, সিউল এবং টোকিও’র এই নৌ মহড়ায় পরমাণু চালিত একটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী অংশ নেয়। খবর এএফপি’র।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ‘কেসিএনএ’ পরিবেশিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই নৌ মহড়া উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তার জন্য ‘চরম হুমকিস্বরূপ’ ছিল। তাই এর জবাবে পিয়ংইয়ং ‘কোরিয়ার পূর্ব সাগরে তাদের জলসীমান্তে পানির নিচে পরমাণু অস্ত্র ব্যবস্থা ‘হাইল-৫-২৩’ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা চালিয়েছে। অস্ত্রটি বিকাশের ধারায় রয়েছে।
গত বছরের শুরুর দিকে পিয়ংইয়ং বলেছিল, তারা পানির নিচে পরমাণু হামলা চালাতে সক্ষম এমন বেশ কয়েকটি ড্রোনের পরীক্ষা চালিয়েছিল। এক্ষেত্রে ‘হাইল’ হচ্ছে একটি ভিন্ন সংস্করণ। কোরিয়ান ভাষায় হাইলের অর্থ হচ্ছে ‘সুনামি’। এটি ‘তেজস্কিয় সুনামি’ সৃষ্টি করতে পারে বলে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে।
তবে বিশ্লেষকরা পিয়ংইয়ংয়ের কাছে এমন অস্ত্র আছে কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এই সপ্তাহের গোড়ার দিকে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান জেজু দ্বীপের দক্ষিণ উপকূলীয় জলসীমায় যৌথ নৌ মহড়া চালিয়েছে। তারা বলেছে, উত্তর কোরিয়ার রোববারের একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জবাবে এই মহড়া চালানো হয়।
এই নৌ মহড়ায় তিনটি দেশের নয়টি যুদ্ধজাহাজ অংশ নেয়। এসবের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস কার্ল ভিনসন’ রয়েছে।
পিয়ংইয়ং শুক্রবার বলেছে, ওয়াশিংটন, সিউল এবং টোকিও’ নৌ মহড়া ‘আঞ্চলিক পরিস্থিতিকে আরো অস্থিতিশীল করার একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তারা উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তাকে চরমভাবে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।’