শিরোনাম
দ্য হেগ, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস/এএফপি): রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলে নেয়ার পর ‘সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন’ এবং ‘জাতিগত বৈষম্যের’ অভিযোগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের দায়ের করা একটি মামলায় জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত বুধবার রায় দিবে।
কিয়েভ মস্কোকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবে অভিযুক্ত করেছে। কারণ, এরআগে ২০২২ সালে পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সর্বাত্মক আগ্রাসন চালানোর সমর্থন ছিল এবং ক্রিমিয়াকে আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করেছিল।
রাশিয়া চায় যে, সংঘর্ষে আটক সব বেসামরিক নাগরিক এবং সেইসাথে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ-১৭ থেকে পূর্ব ইউক্রেনের ওপর গুলি চালিয়ে যেসব বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের পরিবারগুলোকেও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
মামলাটি ইউক্রেনে ২০২২ সালে রুশ আক্রমণের আগে দায়ের করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেবে সেই যুদ্ধের বিষয়ে পৃথক মামলায় রায় দেওয়ার এখতিয়ার তাদের আছে কি-না।
অধিকৃত ক্রিমিয়ায় তাতার সংখ্যালঘু এবং ইউক্রেনীয় ভাষাভাষীদের প্রতি নির্যাতন-নিপীডনের কারণে জাতিগত বৈষম্য সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগে রাশিয়াও কাঠগড়ায় রয়েছে।
মামলাটির শুনানির সময়, নেদারল্যান্ডে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার শুলগিন ইউক্রেনকে ‘নির্লজ্জ মিথ্যাচার এবং মিথ্যা অভিযোগ এমনকি এই আদালতে’ অভিযুক্ত করেছেন।
শীর্ষ ইউক্রেনীয় কূটনীতিক আন্তন কোরিনেভিচ এর তীব্র প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, রাশিয়া ‘আমাদের মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার’ চেষ্টা করছে।
কোরিনেভিচ বলেছেন, ‘২০১৪ সালের শুরুতে রাশিয়া অবৈধভাবে ক্রিমিয়া দখল করে এবং তারপরে জাতিগত ইউক্রেনিয়ান এবং ক্রিমিয়ান তাতারদের সাংস্কৃতিক মুছে ফেলার প্রচারে নামে।’