বাসস
  ০৫ মার্চ ২০২৪, ২১:০২

আসন্ন পবিত্র রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে সচিবদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা

ঢাকা, ৫ মার্চ, ২০২৪ (বাসস) : আসন্ন পবিত্র রমজান ও ঈদ সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যানজট, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ সহ সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে সচিবদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
আজ দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ, মূল্য পরিস্থিতিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এই নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা নিজ নিজ বিভাগের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। পবিত্র রমজান মাসে কোনভাবেই যাতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না পায়, সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বাণিজ্য সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। মজুদদারি রোধে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ইফতার ও সাহরিতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব বলেন, “বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবারের রোজায় দেশে অনেক বেশি খাদ্য ও নিত্যপণ্যের মজুদ আছে। পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাজারে আছে। রোজার প্রস্তুতি আমরা যথাযথভাবে নিতে পেরেছি। যখন যার যা প্রয়োজন তা নিলে কারো কোন সমস্যা হবে না আমরা খুব ভালভাবে রোজা ও ঈদ উদযাপন করতে পারব।”
তিনি আরো বলেন, “রোজার সময় নিত্যপণ্য যাতে মানুষের কাছে পৌঁছায়, সরবরাহ-শৃঙ্খল যাতে ঠিক থাকে, সেজন্য আমরা সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সরকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। ওএমএস কর্মসূচী ও টিসিবির মাধ্যমে রোজা ও ঈদ ঘিরে দুই কিস্তিতে এবার খাদ্যপণ্য সরবরাহ করা হবে। তেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুর আমরা দু’বার করে এক কোটি মানুষকে দেব।”
রোজায় মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর এ সকল নির্দেশনার বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
এছাড়া সহজে টিকিটপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা, মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করা, ঈদের আগে রাস্তা ও সেতু সংস্কার, নৌপথে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আকাশপথে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাড়ানো এবং গার্মেন্টস ও পাটকল শ্রমিকদের বেতনের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), সেতু বিভাগ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, ধর্ম মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উর্ধতন কর্মকর্তারা এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।