বাসস
  ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৯

মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উ. কোরিয়া

সিউল, ২ এপ্রিল, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক) : উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।এ বছর কিম জং উনের সরকারের নিষিদ্ধ অস্ত্র পরীক্ষার ক্ষেত্রে এটি ছিল সর্বশেষ পদক্ষেপ।সিউলের সামরিক বাহিনী এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
মঙ্গলবারের উৎক্ষেপণটি ছিল ২০২৪ সালের তৃতীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। এরআগে গত মার্চ মাসে কিমের তত্ত্বাবধানে কঠিন-জ্বালানি চালিত একটি এবং জানুয়ারিতে হাইপারসনিক ওয়ারহেড সম্বলিত আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম পরিবেশিত খবরে বলা হয়, কিম একটি ‘নতুন ধাচের মাঝারি পাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ইঞ্জিন পরীক্ষা তদারকি করার দুই সপ্তাহেরও কম সময় পর এ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো।
সংবাদ মাধ্যমটি আরো জানায়, তিনি এ বছর ‘সুপারলার্জ’ রকেট লাঞ্চার ড্রিল এবং ট্যাঙ্ক মহড়া তদারকি করেন।
জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেন, সিউলের সামরিক বাহিনী ‘পিয়ংইয়ং থেকে পূর্ব সাগর অভিমুখে উৎক্ষেপণকারী ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬টা ৫৩ মিনিটের দিকে (গ্রিনিচ মান সময় ২১৫৩টা) শনাক্ত করে। এটি একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
তিনি আরো উল্লেখ করেন, পূর্ব সাগর জাপান সাগর নামেও পরিচিত।
জেসিএস বলেন, সাগরের পানিতে পড়ার আগে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৬শ’ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।
তিনি আরো বলেন, তারা উত্তর কোরিয়ার উস্কানিমূলক সামরিক কার্যক্রমের পর্যবেক্ষণ জোরদার করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সাথে প্রাসঙ্গিক তথ্য  গুরত্বসহকারে শেয়ার করছে।
জেসিএস বলেন, ‘আমরা কোরীয় উপদ্বীপে শান্তিও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি স্বরূপ উত্তর কোরিয়ার নির্লজ্জ উস্কানিমূলক কর্মকা-ের তীব্র নিন্দা জানাই।’
এদিকে  জাপান ও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং দেশটি তাদের কোস্ট গার্ডকে সতর্ক থাকতে বলেছে এবং পতিত কোন বস্তুর কাছে না গিয়ে তাদেরকে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জাপানের সরকারি সম্প্রচার কেন্দ্র এনএইচকে জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক জোনের বাইরের জলসীমায় পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেন,উত্তর কোরিয়াকে এ বছর ‘বারবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে দেখা যাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং ‘একদম অগ্রহণযোগ্য।’