শিরোনাম
ওয়াশিংটন, ১৩ মে, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক): গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে ইসরায়েল সর্বাত্মক হামলা চালিয়ে হামাসকে নির্মূল করতে পারবে না বরং এটি অরাজকতা উস্কে দেবে।
রাফায় ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচারণা জোরদারের প্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এন্টনি ব্লিংকেন রোববার এ কথা বলেছেন।
পৃথকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ইসরায়েলের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবির সাথে টেলিফোনে আলাপকালে রাফা অভিযান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন বলে হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে।
হোয়াইট হাউস আরো বলেছে, ইসরায়েল মার্কিন উদ্বেগকে বিবেচনায় নিচ্ছে বলে হানেগবি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে রাফার পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলের বোমা হামলার কারণে ইতোমধ্যে তিন লাখ গাজাবাসীকে ওই এলাকা থেকে সরে যেতে হয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে সিবিএসের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী হামাস জঙ্গিদের চেয়েও বেসামরিক লোককে বেশি হত্যা করেছে বলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিবৃতির সাথে যুক্তরাষ্ট্র একমত কিনা এ প্রশ্নের জবাবে ব্লিংকেন বলেছেন, হ্যাঁ, আমরাও তাই মনে করি।
তিনি বলেন, রাফায় পূর্ণ মাত্রার অভিযানে অবিশ্বাস্য রকমভাবে হতাহতের ঘটনা ঘটবে। এমনকি রাফায় ব্যাপক অভিযান চালানো হলেও হামাসের হুমকিকে শেষ করা যাবে না।
মার্কিন এই কূটনীতিক আরো বলেছেন, হামাস জঙ্গিরা ইতোমধ্যে উত্তর গাজার কিছু এলাকায় ফিরে এসেছে যা ইসরাইল মুক্ত করেছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ব্লিংকেন রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের সাথে রাফায় ব্যাপকভাবে স্থল অভিযান চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলীকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে। এখনও হামাসের কাছে ১২৮ জন জিম্মি হিসেবে আটক রয়েছে।
এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।