বাসস
  ২৬ মে ২০২৪, ১৫:৩৫
আপডেট : ২৬ মে ২০২৪, ২০:২০

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল : দেশের উপকূলীয় জেলাসমূহের সর্বশেষ পরিস্থিতি

ঢাকা, ২৬ মে, ২০২৪ (বাসস) : দেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ‘রেমাল’ আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দর ও উপকূলীয় জেলা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপৎ সংকেতের আওতায় থাকবে। ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর সর্ব শেষ পরিস্থিতি ও প্রশাসন, সেচ্ছাসেবক, মেডিকেল টিম ও শেল্টার সেন্টারের প্রস্তুতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে বাসসের উপকূলীয় জেলা সংবাদদাতাগণের পাঠানো সংবাদ। 
পটুয়াখালী:
জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার, ৩৫টি মুজিব কিল্লা, ৭৩০ টন চাল, ১০ লাখ  টাকার শিশু খাদ্য, ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া শুকনা খাবার রয়েছে ১ হাজার ৫০০ প্যাকেট। নগদ টাকা রয়েছে ২৪ লাখ ৭ হাজার টাকা ৫০০টাকা।  রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপির ৯ হাজার স্বেচ্ছা সেবককে প্রস্তুত থাকাসহ বিদ্যুৎ বিভাগ সড়ক বিভাগ ফায়ার সার্ভিসকে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম। জেলায় মোট ৭৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন, ওষুধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সংরক্ষিত রয়েছে। জেলায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দুর্যোগের সময় কোথাও ভাঙ্গন দেখা দিলে তা মেরামতের জন্য ১৬ হাজার জিও ব্যাগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে জেলায় ৮৭ হাজার হেক্টর জমিতে রয়েছে মুগ ডাল এবং ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
বাগেরহাট:
জেলায় আজ দুপুর থেকে ঝড়ো বাতাসের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে, বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছে দুর্গত মানুষ, নদ-নদীতে জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলায় নদী পারাপারের খেওয়া নৌকা চলাচল বন্ধ, মোংলা বন্দরে জাহাজে পণ্য উঠা নামার কাজ বন্ধ। চলছে মাইকিং, মানুষ ছুটতে আশ্রয় কেন্দ্রে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে থেমে-থেমে বৃষ্টি ও ধমকা হাওয়া বইছে। জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন জানান, ঘুর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫১ জন ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট জেলার ৩৫৯টি সাইক্লোন সেন্টার  প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুপুর নাগাদ এলাকাবাসীকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার চেষ্টা চলছে। গতরাত থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার জন্য এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে এবং সাড়ে ৩ হাজার সেচ্ছাসেক নিরলস কাজ করে চলেছে। সকাল পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। এদের শুকনা খাবার, পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, সেনিটেশন সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া সব আশ্রয় কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। জেলার সব সরকারি কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আপদকালীন চিকিৎসা সেবার জন্য ৮৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলায় ত্রাণ বাবদ ৬৪৩ টন চাল ও নগদ ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয় উপজেলা মোংলা মোরেলঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলায় সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার,স্কাউট এর ৩ হাজার ৫০৫ জন, স্বেচ্ছাসেবক দুর্যোগ মোকালোয় কাজ করছে। উপকুলীও এই তিন উপজেলায় ঝড় সহনশীল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুত রাখা, শুকনো খাবার মজুদ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী মজুদ করার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন, নির্বাহী প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ-বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান জানান, মোংলা বন্দরে ৭ নম্বর সংকেতের পরপরই বন্দরে থাকা দেশি-বিদেশী জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ বদ্ধ রয়েছে। জেলায় ১০ কিলোমিটার ভেড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় দু’টি জায়গায় জরুরী সংস্কার কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। সুন্দরবন বিভাগের সব বন কর্মীকে নিরাপদে থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের প্রতিটি ষ্টেশনসহ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও বনরক্ষকীরা নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। করমজল বন্যপ্রাণী ও প্রজনন কেন্দ্রের বণ্যপ্রাণীদেরও নিরাপদে রাখা হয়েছে। দেশী-বিদেশী সব পর্যাটককে নিরাপদে ফিরে আসার জন্য বনবিভাগ সতর্কতা জারি করেছে। 
ভোলা:
জেলায় আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ। ভয়াবহ এই দুর্যোগ থেকে বাঁচতে রোববার বেলা ২টা পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার মানুষ নিকটবর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে দুপুরের খাবার। দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা এই জেলার প্রায় দুই লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে সচেষ্ট রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সকাল থেকেই বৈরী আবহাওয়ায় ঝড়ো হাওয়াসহ আকাশ কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে। উত্তাল রয়েছে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী। স্বাভাবিকের চাইতে কয়েক ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে এসব নদীর পানি। গতরাত ১০টার পর থেকে জেলায় সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলায় ১৩ হাজার ৮৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করছে। মোট ৮৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র  প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৯৮টি মেডিকেল টিম।  দুর্যোগ মোকাবেলায় নগদ ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা রয়েছে। চাল রয়েছে ২২২ টন, ঢেউটিন ২১৪ বান্ডিল, গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরী  বাবদ ৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার ২ হাজার  ২২৩ প্যাকেট। 
বরগুনা:
জেলায় বাতাসের গতি বেড়েছে। আমতলি, পুরাকাতা, বরইতলা ফেরি ঘাট তলিয়ে গেছে। থেমে-থেমে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে চলছে। পায়রা ও বিষখালি নদীসহ তালতলী ও পাথরঘাটায় সাগর মোহনা উত্তাল হয়ে আছে। মাছধরা ট্রলার ও নৌকা নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। জেলা রেড ক্রিসেন্টের ৮হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে।নদী তীরবর্তী মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ৪২টি মেডিকেল টিম ও ১০টি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। জেলার ৬৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখাসহ পর্যাপ্ত ৩০০ প্যাকেট শুকনা খাবার ও ১ লাখ ৫৪ হাজার পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৪২২টন খাদ্যশস্য ও নগদ অর্থ  ১৭ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা এবং গো খাদ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ১ কিলোমিটার ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ তাৎক্ষণিকভাবে মেরামতের জন্য ৮০০ জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে পাউবো জানিয়েছে।
সাতক্ষীরা:
জেলার উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়ার পাশাপাশি গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সুন্দরবন সংলগ্ন নদীগুলোতে স্বভাবিকের চেয়ে পানি তিন থেকে চার ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও দেবহাটা এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা, শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখা, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীরা যেন সকলে নিজ-নিজ এলাকায় অবস্থান করে, ইউনিয়নে মেডিকেল টিম প্রস্তুতকরণ, খাওয়ার পানি মজুদ রাখা, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' মোকাবেলায় ১৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ ৮৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবহারের উপযোগী করা হচ্ছে। এছাড়া ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরী কাজে অংশগ্রহণের জন্য। এছাড়া জরুরী ত্রাণ কার্যে ব্যবহারের জন্য ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকামজুদ রয়েছে।
চট্টগ্রাম: 
রেমাল মোকাবেলায় ৭৮৫টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ১১৪০টি বিদ্যালয় ও ৯টি মুজিব কিল্লাসহ মোট ১৯৩৪টি স্থাপনা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।  সব চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দিয়ে ২৯৫টি মেডিক্যাল টিম গঠন করেছেন সিভিল সার্জন কার্যালয়। বিশেষ করে সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, মিরসরাই, সীতাকুন্ড ও কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে (ইউএনও) বিশেষভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সকল চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খোলা হয়েছে জরুরি কন্ট্রোল রুম। যার নম্বর-০২৩৩৩৩৫৪৮৪৩। এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে ২০০টি, প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি, আর্বান ডিসপেন্সারি ৯টি এবং ৫টি জেনারেল হাসপাতালসহ মোট ২৯৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য প্রায় ৩ লাখ ট্যাবলেট ও ৪ লাখ খাবার স্যালাইন মজুত রয়েছে। যথেষ্ট ওষুধ, স্যালাইন, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুত রাখতে হবে। জেলা প্রশাসন জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। যার নম্বর-০২৩৩৩৩৫৭৫৪৫। রেমালের প্রভাবে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৮ ঘণ্টা ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ থাকবে। রোববার দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ থাকবে। প্রাথমিকভাবে রাত আটটা পর্যন্ত এ ঘোষণা বহাল থাকবে। এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। জেটিতে নতুন করে কোনো জাহাজ ভেড়ানো হচ্ছে না। মাদার ভেসেলগুলো বহির্নোঙরে থাকবে। এছাড়া লাইটার জাহাজগুলোকে কর্ণফুলীর উজানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বন্দরের জেটিতে অপারেশনাল ইকুইপমেন্ট নিরাপদে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর:
জেলায় ১৮৯টি স্থায়ী ও অস্থায়ী সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। ৬৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। দুর্যোগকালীন ত্রাণ তহবিলে নগদ ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৪৫০ টন চাল রয়েছে। দুর্যোগ থেকে মানুষ ও গৃহপালিত পশু রক্ষায় ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয়  জনপ্রতিনিধি ও রেড ক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবে।