বাসস
  ০৩ জুন ২০২৪, ১৬:৩১

বুরকিনার শিবিরে জিহাদিদের রক্তপাতে বাস্তুচ্যুতি সংকট

ডোরি, বুরকিনা ফাসো, ৩ জুন, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক): বুরকিনা ফাসোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকরা জিহাদি সহিংসতা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ভ্যাপসা গরমে গাছের ছায়ায় শিবিরের তাবুতে মরিয়া হয়ে ভিঁড় জমায়।
জঙ্গি হামলার সাথে সাথে তাদের বাড়িঘর ও খামার ছেড়ে হাজার হাজার মানুষ সামান্য আশা নিয়ে তাদের জীবনের জন্য ডোরি শহরের কাছে এই শিবিরে ছুটে গেছে। মানবতাবাদীরা এটিকে একটি ‘উপেক্ষিত’ বিপর্যয় বলে অভিহিত করেছেন। খবর এএফপি’র।
কিরিসি সাওয়াদোগো নামে হামলায় বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি বলেন, ‘তারা গ্রামে এসে আমাদের হুমকি দিয়েছে। তারা আমাদের গবাদি পশু চুরি করেছে এবং লোকেদের হত্যা করেছে।’ ‘তাই আমাদের পালিয়ে এখানে এসেছি। সাহেল মরু অঞ্চলে তার নিজের গ্রাম লেলি থেকে তিনি ওয়েন্ডু ২-এ পালিয়ে যান। একই নামের একটি বিশাল প্রাথমিক শিবিরের একটি শাখায় এখন তিন হাজার লোক রয়েছে।
সশস্ত্র জিহাদিরা প্রায় ১০ বছর ধরে সাহেলের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত আফ্রিকান দেশটির বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাস চালিয়ে আসছে।
বাস্তুচ্যুত লোকেরা খুব কমই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নাম বলে, তবে কর্তৃপক্ষ সাধারণত তাদের আল-কায়েদা বা ইসলামিক স্টেট গ্রুপের সাথে যুক্ত জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে। 
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, সশস্ত্র  লোকেরা ওয়েন্ডো ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে আট বাসিন্দাকে হত্যা করে।
বেসরকারি নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের সোমবার নতুন প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে বুরকিনা ফাসো সবচেয়ে অবহেলিত বাস্তুচ্যুতি সংকট বলে চিহ্নিত করেছে। টানা দুই বছর ধরে দেশটি এই সংকটে ভুগছে ।
দেশটির সর্বশেষ ২০২৩ সালে প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুসারে, বুরকিনা ফাসোর আনুমানিক ২০লাখ বাস্তুচ্যুত লোকের এক চতুর্থাংশ উত্তরের সাহেল অঞ্চলের।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়কের কার্যালয় জানায়, এই বছরের শুরুতে সাহেল সেক্টরের ৮৫ শতাংশ স্কুল ও ৬৯ শতাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ ছিল।
মে মাসের শেষের দিকে শিবিরগুলি পরিদর্শন করে এনআরসি-এর প্রধান জ্যান এগল্যান্ড বলেন,  সাহেল এলাকাটিকে পদ্ধতিগতভাবে উপেক্ষা করা হয়। তিনি বলেন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জিহাদিদের সাথে লড়াইরত বুর্কিনা পশ্চিমা দাতাগোষ্টির মধ্যে কূটনৈতিক সঙ্কটের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে ।
বুরকিনা কর্তৃপক্ষ প্রায়শই জিহাদিদের বিরুদ্ধে জয়ের দাবি করে। তবে সহিংসতার কোনো শেষ  দেখা যাচ্ছে না এবং দেশের কিছু অংশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে।